কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, চলতি রবি মরশুমে বোরো ধানের পাশাপাশি চীনাবাদাম, ভুট্টা, সর্ষে, আলু, তিল ও গম চাষে যুক্তদের বাংলা শস্যবিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র গরমের ভুট্টা চাষের ক্ষেত্রে শস্যবিমায় আবেদনের শেষ সময়সীমা ৩১ মার্চ। বাকি শস্যের ক্ষেত্রে বিমার জন্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট কৃষককে।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা গোপাল সাহা বলেন, গতবার মাত্র ১১৮ জন আলুচাষিকে বাংলা শস্যবিমার আওতায় আনা গিয়েছিল। এবার সংখ্যাটা অন্তত ২০ হাজার করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, গতবার বিমার প্রিমিয়াম আলুচাষিদেরই বহন করতে হতো। কিন্তু এবার তা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ফলে জেলায় যাঁরা আলুচাষ করছেন, তাঁরা যাতে প্রত্যেকেই বিমার আওতায় আসেন, সেই টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
আলুর পাশাপাশি ভুট্টা চাষের এলাকা এবার জলপাইগুড়ি জেলায় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে কৃষিদপ্তর। গতবার জেলায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছিল। এবার তা ৩৫ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। একইভাবে গত বছর জেলায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। এবার অন্তত ২০ হাজার হেক্টর জমিতে তা চাষ হবে বলে দাবি কৃষি আধিকারিকদের।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, অনেকেই আমন ধান তুলে সেই জমিতে আলু বসিয়েছেন। আবার একসময় যাঁরা গম চাষ করতেন, তাঁরা এখন বেশি লাভের আশায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন। জলপাইগুড়িতে অবশ্য বোরো ধান চাষের এলাকা সেই অর্থে বেশি নয়। গত বছর ১৭১৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। বোরো চাষ করা ৭১৮৪ জন কৃষককে গতবার শস্যবিমার আওতায় আনতে পেরেছিল কৃষিদপ্তর। এবারও একই টার্গেট রাখা হয়েছে। গতবার জেলায় ৫৩১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল চীনাবাদামের। ওই ফসল চাষ করা ২৫৭৪ জন কৃষককে শস্যবিমার আওতায় আনা গিয়েছিল। এবারও চাষের এলাকা খুব একটা বাড়বে বলে মনে করছে না কৃষিদপ্তর। ফলে এক্ষেত্রেও টার্গেট বাড়ানো হয়নি।