কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে আগেভাগেই পাচারের বিষয়টি জানা গিয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন রায়গঞ্জ থানার পুলিস, কলকাতা পুলিসের এসটিএফ যৌথ অভিযানে নামে। রীতিমতো ফাঁদ পেতে রায়গঞ্জের শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পানিশালা টোলট্যাক্স এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকে টিমটি। সেখানে মালদহগামী এনবিএসটিসি‘র বাসটি পৌঁছতেই, সেটিকে দাঁড় করানো হয়। তল্লাশি চালানো হয়। যাত্রীদের মধ্যে দুই সন্দেহভাজনের দেহ তল্লাশি করা হয়। তারপরই উদ্ধার হয় মাদক। পুলিস ও প্রশাসন এরপরই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উদ্ধার প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করে।
রায়গঞ্জের পুলিস সুপার সানা আখতার বলেন, কলকাতা পুলিসের এসটিএফের তরফে জেলা পুলিসকে তথ্য দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতেই রায়গঞ্জ থানার পুলিস, কলকাতা পুলিসের এসটিএফ যৌথভাবে অভিযানে নামে। মণিপুরের বাসিন্দা মহম্মদ রিয়াজউদ্দিন ও আলিপুরদুয়ার শামুকতলার বাসিন্দা রঞ্জিলা মুর্মু নামে দু’জনকে ৭৪০ গ্রাম মাদক সহ গ্রেপ্তার করা হয়। যার মূল্য আনুমানিক ৭৫ লক্ষ টাকা।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা শিলিগুড়ি জংশন থেকে মালদহগামী এনবিএসটিসি বাস ধরে। ধৃতরা মালদহ যাওয়ার টিকিটও কাটে। কিন্তু রায়গঞ্জ শহরে প্রবেশের আগেই পানিশালা টোলপ্লাজার কাছে বাসটি আটক করা হয়। ওই বাসেরই যাত্রী পবিত্র ত্রিবেদী বলেন, একজন মহিলা ও পুরুষ অন্যান্য যাত্রীদের মতোই বাসের সিটে বসে আসছিল। কিন্তু ওরা যে মাদক নিয়ে বাসে চেপেছে কেউ কিছু টের পাইনি। একই সিটে ওই মহিলা ও পুরুষ বসে ছিল। পরে পানিশালা টোল প্লাজায় পুলিস গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আমরাও খুব তাজ্জব বনে গিয়েছি।