কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
মানিকচক ঘাটের গঙ্গা দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী রোজ যাতায়াত করলেও যথাযথ তল্লাশির ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। মানিকচক ঘাট বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায়। দুই রাজ্যের বহু মানুষ প্রতিদিন নৌকা ও লঞ্চে যাতায়াত করেন এই গঙ্গার উপর দিয়ে। মানিকচক থানার পক্ষ থেকে ঘাটে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোতায়েন থাকে সিভিক ভলান্টিয়ার, মানিকচক থানার পুলিস। তবে মালদহে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় বিহার যোগ সামনে এলেও নিরাপত্তার বাড়তি ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না এই ঘাটে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। মাসতিনেক আগে মানিকচকের কংগ্রেস নেতা শেখ সাইফুদ্দিনকে ধরমপুর বাজারে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেবারও বিহার ও ঝাড়খণ্ড যোগ উঠে এসেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব মণ্ডল বলেন,ঝাড়খণ্ড থেকে আসা নৌকা ও লঞ্চের যাত্রীদের উপর নজরদারি চালানো হলেও মালপত্র তল্লাশি করে দেখা হয় না। ওপার থেকে লঞ্চে আসা পণ্যবাহী লরিতেও নজরদারি নেই। ফলে দুষ্কৃতীরা সহজেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে।
এছাড়া ধরমপুর অঞ্চলের রুস্তমপুর, গোপালপুর ও ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকার নদীপথ একেবারে উন্মুক্ত। যার ফলে নদীপথ ব্যবহার করে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। জলপথে নজরদারি করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সাধারণ সম্পাদক গৌর মণ্ডল এবং সিটুর মালদহ জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা। তাঁদের দাবি, দুষ্কৃতীদের অবাধ বিচরণ মালদহ জুড়ে। নদীপথকে নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে তাঁরা। যেভাবে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়েছে, তাতে আমরাও আতঙ্কিত। আমাদের উপরেও যে কোনও সময় হামলা হতে পারে।
মানিকচকের নেতা তথা জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি বিশ্বজিত্ মণ্ডলের কথায়, পুলিস নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে। মানিকচক সহ অন্যান্য ঘাটে আরও তত্পরতা দরকার। সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।
মানিকচক থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, মানিকচক ঘাটে নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালানো হয়। রয়েছে আটটি সিসি ক্যামেরা। নিরাপত্তায় খামতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।