কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
কয়েক দিন আগেই সুপারি কিলারদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মালদহের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকারের (বাবলা)। তদন্তে নেমে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারের পর হামলাকারীদের সঙ্গে বিহারের গ্যাংয়ের স্পষ্ট যোগসূত্র মেলে। এরপর থেকেই ধাপে ধাপে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিস্তীর্ণ বিহার সীমানায় নজরদারি বাড়িয়ে দেয় রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর পুলিস জেলা। বিশেষ করে রায়গঞ্জ, ইটাহার, করণদিঘি, ডালখোলা ও গোয়ালপোখর, ইসলামপুর থানা এলাকায় নাকা পয়েন্টগুলিকে নতুন করে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বিহারের সীমানা লাগোয়া। মূল রাস্তা ছাড়াও জেলার অনেক জায়গাতেই বিহারের সীমানা রয়েছে। রায়গঞ্জের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুমারজোল এলাকায় নাগর নদী পার হলেই বিহার। একইভাবে চোপড়া সহ ডালখোলার অনেক ছোট বড় রাস্তা পেরিয়ে সহজে বিহারে ঢোকা যায়। তাই পুলিসের তরফে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ কুমার যাদব জানিয়েছেন, বিহারের সঙ্গে আমাদের বিস্তীর্ণ সীমানা রয়েছে। একদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা, গোয়ালপোখর এলাকা বিহারের সীমানা লাগোয়া। তাই উত্তরবঙ্গের পুলিস সুপাররা বিহারের এসপিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছেন। এছাড়াও আন্তঃরাজ্য অপরাধীদের তথ্যসূচি রাখা হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় পুলিসের সোর্সদের সক্রিয় করা হয়েছে। আমরা বিহার পুলিস থেকে ভালো সহযোগিতা পাচ্ছি। আমাদের নাকা পয়েন্টেও নজর দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সারপ্রাইজ নাকা চেকিং। ঘনঘন পেট্রোলিং হচ্ছে। এছাড়াও ভিনরাজ্য লাগোয়া সীমানার সাধারণ মানুষের থেকে সহযোগিতা নিচ্ছে পুলিস। সন্দেহভাজনদের ঘোরাফেরা করতে দেখলে মানুষ পুলিসকে খবর দিচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশ ইস্যু সহ একাধিক বিষয়েও বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে রাজ্য পুলিস।