কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেটাগুড়ি-২ পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে বানিয়াদহ নদী। রবিবার দুপুরে গ্রামের কয়েকজন কিশোর ওই নদীতে মাছ ধরতে নামে। সেসময় তারা নদীর জলে মূর্তিটি পায়। এরপর ওই কিশোররা মূর্তিটি নদীর ধারে রেখে আবার মাছ ধরতে শুরু করে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটির উচ্চতা আনুমানিক এক ফুট। এক মহিলা সেখানে গেলে তাঁকে মূর্তিটি নিয়ে যেতে বলে ওই কিশোররা। এরপর ওই মহিলা মূর্তিটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সেটি পরিষ্কার করে বাড়ির মন্দিরে রাখেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলার বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এরপর শুরু হয় পুজোপাঠ।
ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান দীপক রায় বলেন, আমার নিজের বুথেই ঘটনাটি ঘটেছে। মূর্তিটি দেখে অনেক পুরনো মনে হচ্ছে। উচ্চতা প্রায় এক ফুট। সেটি পাথর না অন্যকিছু দিয়ে তৈরি বোঝা যাচ্ছে না। একসময় পাশের গ্রাম মহাকাল ধামে কোচবিহার রাজার রাজধানী ছিল। ফলে এর আগে আশপাশের এলাকায় মাটির নীচ থেকে অনেক প্রত্নতাত্বিক নির্দশন মিলেছিল। এটাও সেরকমই কিছু হতে পারে। আমরা মন্দির গড়ে ওই মূর্তিটি বসিয়ে ধুমধাম করে পুজো করব।
ইতিহাসবিদ আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এটি দশম বা একাদশ শতাব্দীর মূর্তি হবে। ওই সময় অঞ্চলটি জঙ্গলঘেরা পথ ছিল। সেসময় ওই পথ ধরে বৌদ্ধরা বার্মা যেতেন। এটি বুদ্ধ মূর্তি বলেই মনে হচ্ছে।
নিজস্ব চিত্র।