কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
প্রতিবছর শীতে নির্জনতার সুযোগ নিয়ে এসব কাণ্ডকারখানা বেড়ে যায় স্কুল চত্বরে। এবারও শীতের মরশুম শুরু হতেই মদ্যপদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রবিবার রাতেও স্কুলে তাণ্ডব হয়েছে। দরজা, জানালা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের টিচার ইনচার্জ শ্যামল পাসোয়ান বলেন,সীমানা প্রাচীর না থাকায় রাতে স্কুলে মদ্যপদের আসর বসছে। দিনেও স্কুল ছুটির পর মদ, নেশার আসর বসছে।
৫৭ বছরের পুরনো এই প্রাইমারি স্কুলটিতে বাঙালবাড়ির ভাতসিয়া, নহুসারা, মাঝডিয়া, দক্ষিণ কৃষ্ণপুর, নেতাজিপল্লির খুদেরা পড়াশোনা করে। প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে দেড়শো পড়ুয়া রয়েছে বর্তমানে। দু’জন পার্শ্বশিক্ষক সহ ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু আক্ষেপ, এখনও স্কুল ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীর নেই। আর এই সুযোগই নিচ্ছে মদ্যপরা। সূর্য ডুবলেই স্কুল চত্বরে অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, স্কুলে এসে আগে আমাদের মদের বোতল সরাতে হয়। কাচের ভাঙা বোতল পড়ে থাকছে।
রবিবার রাতে লোহার জানালা ভেঙে নেশাড়ুরা ক্লাসরুমে ঢুকেছে। দরজা ভেঙে দিয়েছে। এর আগেও এধরনের ঘটনা স্কুলে ঘটেছে। তখন স্থানীয় পঞ্চায়েত পুলিস, সকলকেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু দু-একদিন পুলিস টহল দিলেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। স্কুল চত্বরে এই অসামাজিক কার্যকলাপে আতঙ্কিত পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। বিষয়টি প্রশাসনের গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলে দাবি তাঁদের। ফোন না তোলায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাইমারি স্কুল) দুলাল সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। নিজস্ব চিত্র।