কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ডাউন বিবেক এক্সপ্রেস রবিবার সন্ধ্যায় মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছতেই নির্দিষ্ট কামরা থেকে এক পুরুষ যাত্রীকে তারা আটক করে। ওই যাত্রীর সঙ্গে একটি নতুন কম্বলের ব্যাগ ছিল। ব্যাগ খুলে কম্বলের ভাঁজ খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ পুলিসের। উদ্ধার হয় বিপুল টাকার ব্রাউন সুগার। মালদহ টাউন জিআরপি’র আইসি প্রশান্ত রাই বলেন, রাজ্য পুলিসের এসটিএফ থেকে আমাদের কাছে খবর আসে। সেই মতো আমরা ডাউন বিবেক এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট কামরা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে তার ব্যাগ তল্লাশি করি। তার সঙ্গে একটি কম্বলের ব্যাগ ছিল। ওই কম্বলের ভাঁজ থেকে এই ব্যাপক পরিমাণ ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জিআরপি’র তরফে ধৃতের নাম প্রকাশ করা না হলেও তার বাড়ি মালদহের কালিয়াচকে বলে জানা গিয়েছে। সে মণিপুর থেকে ব্রাউন সুগার নিয়ে আসছিল। যা কালিয়াচকে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি এবং রাজ্য পুলিসের এসটিএফ।
এদিকে মালদহ জেলা পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মালদহে ব্রাউন সুগার পাচারের ক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য গ্যাং যুক্ত রয়েছে। তারা দু’ভাবে মাদক পাচারের কারবার চালায়। কখনও কখনও তারা ব্রাউন সুগার তৈরির জন্য চোরাপথে মালদহে কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকে। জেলার কালিয়াচকেই বিভিন্ন গোপন ডেরায় ব্রাউন সুগার তৈরি করা হয়। ইতিমধ্যেই বেশকিছু গোপন ডেরায় হানা দিয়েছে মালদহ জেলা পুলিস। তারা আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের বেশ কয়েকজন চাঁইকেও গ্রেপ্তার করেছে।
আবার দেখা গিয়েছে, ব্রাউন সুগার তৈরির জন্য মালদহ থেকে শ্রমিক ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাস খানেক আগেই অসম থেকে ব্রাউন সুগার পাচার করার সময় মালদহ টাউন জিআরপি’র হাতে দুধের শিশু সহ এক মহিলা গ্রেপ্তার হয়। সেবারেও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মালদহে পাচারের উদ্দেশ্যে ব্রাউন সুগার নিয়ে আসা হয়েছিল।