কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সোমবার থেকে শহরের ১৬টি জোনে পেইড পার্কিং চালুর কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত তা কার্যকর হল না। পরিবর্তে গোটা পরিকল্পনা রূপায়ণে সমস্ত কাউন্সিলারের পাশাপাশি পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করতে বাধ্য হল পুরসভা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১০ জানুয়ারি পুরসভা ও পুলিস প্রশাসন যৌথভাবে পরিদর্শন চালিয়ে কোথায় কোথায় পেইড পার্কিং জোন করার সুযোগ রয়েছে, কোথায় নো পার্কিং জোন হবে তা ঘুরে দেখবে। পাশাপাশি কোন রাস্তার ফুটপাত কতটা দখল হয়ে রয়েছে, টোটোর সমস্যা কোন রাস্তায় সবচেয়ে বেশি, তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই তৈরি করা হবে ব্লু প্রিন্ট বা নীল নকশা। সেইমতো টেন্ডার করে তারপর পেইড পার্কিং চালু করা হবে। গোটা বিষয়টি কার্যকর করতে যে অন্তত দু’সপ্তাহ সময় লাগবে যা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল।
এদিকে, শহরবাসীর কাছে পুরসভার আরও একবার মুখ পুড়ল বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এর আগে টোটো সমস্যা সমাধানেও ঢাকঢোল পিটিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল পুরসভা। কিন্তু শহরবাসী টোটো সমস্যা থেকে মুক্তি পাননি। কংগ্রেস কাউন্সিলার অম্লান মুন্সির তোপ, আসলে পুরবোর্ডের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য বারবার শহরবাসীর কাছে পুরসভার মুখ পুড়ছে। পেইড পার্কিং নিয়েও সেটাই হল।
চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, আমরা শহরের যানজট সমাধানে পেইড পার্কিং চালুর চেষ্টা করছি। তবে সবটা দেখেশুনে এটা করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এদিন বৈঠক করা হয়েছে। পুরসভাকে কিছুটা সময় দিতে হবে। ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের সাফাই, পেইড পার্কিং নিয়ে শহরের মানুষ নানা প্রস্তাব দিয়েছেন। সেসব খতিয়ে দেখতেই আমরা কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিলাম। পুলিস প্রশাসনের তরফেও পার্কিং নিয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে। সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে। তবে শহরের ভালোর স্বার্থে পুরসভা পদক্ষেপ করবেই। কোনও হুমকির কাছে আমরা মাথা নত করব না।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, জলপাইগুড়ির মার্চেন্ট রোড, ডিবিসি রোডের মতো রাস্তায় যেখানে মানুষ ঠিকমতো হাঁটতেই পারে না, সেখানে পেইড পার্কিং জোনের বোর্ড ঝুলিয়েছে পুরসভা। এতে যানজট আরও বাড়বে। পার্কিং জোন চালুর আগে পুরসভার উচিত ফুটপাত দখলমুক্ত করা এবং টোটো সমস্যার সমাধান করা। নিজস্ব চিত্র।