কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
চিত্তমোহনবাবু সুপারির ব্যবসা করতেন। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে বাইরে থাকেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে থাকেন ভাদুরবাড়িতে। সোমবার সকালে তিনি সুপারি গাছে ওঠেন। অভিযোগ, সেই সময় ভাগ্নে ভাষ্যপ্রতিম রায় ও তার মা সনকা রায় গাছ থেকে নামতে ভয় দেখান। অভিযুক্তরা মারমুখী আচরণ শুরু করেন। এরপরও গাছ থেকে না নামায় অনবরত চিত্তমোহনকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। আর সে সময় গাছ থেকে পড়ে যান বৃদ্ধ। স্বামীকে গাছ থেকে পড়তে দেখে দৌড়ে আসেন তাঁর স্ত্রী ফলেমতি সরকার। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে পাঠানো হয় ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিত্তমোহনকে মৃত ঘোষণা করে।
ফলেমতি বলেন, সুপারি গাছটি আমাদের সীমানায়। আমাদের গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করতে উঠেছিলেন স্বামী। তাতেও ওদের সমস্যা। ওরা বাধা দেয়। পাথর ছোড়ে। ওদের জন্যই আমার স্বামীর মৃত্যু হল। জমি ছিনিয়ে নিতে বেশ কিছুদিন ধরে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিল ওরা। আমি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই। এদিকে অভিযুক্ত ভাষ্যপ্রতিম সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি বা মা কেউ ঢিল মারিনি। এমনকি বাধাও দিইনি। সুপারি গাছটি আমাদের সীমানায়। কিন্তু এরপরেও সুপারি পাড়তে মামাকে বাধা দেওয়া হয়নি। তিনি নিজেই পড়ে গিয়েছেন। এখন আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের স্ত্রী। - নিজস্ব চিত্র।