কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
১৯৫০ সালের ১০ জানুয়ারি স্থাপিত হয়েছিল জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি তিনদিন স্কুলের তরফে একাধিক অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। ১০ তারিখ সকালে জল্পেশ মোড় থেকে স্কুল পর্যন্ত রোড রেস হবে। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসী, বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের নিয়ে শোভাযাত্রা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি মঞ্চস্থ করবে। এছাড়াও পুষ্প মেলা ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা থাকছে। পরবর্তীতে ইসরো দ্বারা বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল প্রদর্শনী হবে স্কুল ক্যাম্পাসে। প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন এবং বিবেকানন্দের উপর আলোচনা চক্র থাকছে। ১২ তারিখ রাতে বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
স্কুলের টিআইসি গণেশচন্দ্র সরকার, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে আছেন কার্তিকচন্দ্র রায়। জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে পড়ানো হয়। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোর মানও যথেষ্ট ভালো। প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ে। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী ৪০ জন। অস্থায়ী কর্মী আছেন চারজন। এই স্কুলে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য রয়েছে হেল্থ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন। ২০২৪ সাল থেকে দু’টি বিষয়ের উপর ভোকেশনাল কোর্স শুরু হয়েছে। সেখানে রয়েছে হেল্থ কেয়ার এবং অটোমোটিভ।
স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অপু বিশ্বাস তাইকোন্ডোয় রাজ্যস্তরের টুর্নামেন্টে দু’বার স্বর্ণপদক জয় করেছে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা প্রাক্তন পড়ুয়া থেকে শুরু করে বর্তমান ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের আমাদের স্কুলের প্ল্যাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তিনদিন ধরে হবে নানান অনুষ্ঠান।
টিআইসি বলেন, হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুল একসঙ্গেই তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় কিছু লোকজন গ্রামে শিক্ষার প্রসারে জল্পেশের বাসিন্দা ঘনশ্যাম সেনের কাছে স্কুল তৈরির আবেদন রেখেছিলেন। তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ঘনশ্যাম সেনের বাবার নামে স্কুলটি গড়ে ওঠে। অপরদিকে, তৎকালীন জল্পেশ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত খগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এই স্কুলের গতিবৃদ্ধির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রছাত্রী সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁদের জন্যই জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় আজ জলপাইগুড়ির মধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। ২০২০, ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের স্কুলের দুই পড়ুয়া এক নম্বরের জন্য রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। নিজস্ব চিত্র।