কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
জনপ্রিয়তার নিরিখে বাবলা ছিলেন মালদহের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম। নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই, বিরোধী দলের নেতৃত্ব, ক্রীড়া, সংস্কৃতি জগত্, সংবাদমাধ্যম সব মহলের সঙ্গেই ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল দুলাল সরকার ওরফে বাবলার। তাঁর খুন হওয়া তাই স্তম্ভিত করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে মালদহের বাসিন্দাদের অনেককে। তাঁদের অনেকেই মনে করেন নিজগুণেই কার্যত জননেতার স্তরে উঠে এসেছিলেন দুলাল। তাঁর উপরে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত ভিড় জমতে থাকে মালদহ মেডিক্যালে। কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অনুগামী এবং গুণমুগ্ধরা। হাসপাতালে ছুটে যান ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালা, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ সহ তৃণমূল নেতানেত্রীরা। তাঁদের সকলেরই মুখ ছিল থমথমে। দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সহ পুরসভার প্রায় সব কাউন্সিলরই। মেডিক্যালে হাজির হন পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি। পরে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। প্রত্যেকেই স্বীকার করেন, বাবলার ব্যবহার ছিল যেমন মধুর, তেমনই তাঁর জনমোহিনী শক্তিও ছিল নজরকাড়া। জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি মান্তু ঘোষ সহ কংগ্রেস ও বামদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকেও এদিন বিচলিত হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা গিয়েছে শোকের বহিঃপ্রকাশ। স্কুল শিক্ষক নির্মল সরেন বলেন, মানুষটির সঙ্গে ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গতা ছিল না। কিন্তু দু’একবার কিছু প্রয়োজনে তাঁর কাছে গিয়ে ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি।
পাড়ার বাসিন্দা সুমন ঘটকও একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। জানালেন, মানুষটা ছিলেন দিলদরিয়া। খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন খুব। বুধবার রাতেও পাড়ার ছেলেদের ডেকে লুচি, বোঁদে ও খাসির মাংস খাইয়েছিলেন। এমন জনদরদী নেতা আর নেই, ভাবতেও পারছি না! মেডিক্যাল থেকে বের করে আনা হচ্ছে বাবলা সরকারের দেহ। - নিজস্ব চিত্র।