কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের কথায়, ২০০৮ সালে বিশ্বনাথ গুহকে রাতের অন্ধকারে খুন করা হয়। বৃহস্পতিবার বাবলা সরকারের মতো একজন পরিচিত রাজনৈতিক নেতাকে দুষ্কৃতীরা এভাবে দিনের আলোয় খুন করে পালিয়ে গেল, এটা পুলিসের চরম ব্যর্থতা। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে বাবলা পার্টিটা করতেন। তিনি কোনও দলবদলু নেতা ছিলেন না। অবিলম্বে পুলিসকে খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে। শাসক দলের নেতার নিরাপত্তা নেই দেখে মালদহ শহরে যে একটা চাপা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৯৮০ সালে সিপিএম নেতা কুলদীপ মিশ্রকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। তিনিও ঝলঝলিয়া এলাকাতেই খুন হয়েছিলেন। প্রায় একই জায়গায় এদিন খুন হন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। কুলদীপ সেই সময় সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ অনুমোদিত রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। জেলা কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, এর আগে দুই রাজনৈতিক নেতা রাতের অন্ধকারে খুন হয়েছিলেন। এই প্রথম প্রকাশ্য দিবালোকে কোনও শাসক দলের নেতা খুন হলেন। এই ঘটনায় অবশ্যই শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, ২০০৮ সালের বিশ্বনাথ গুহের খুনের পর জেলায় ফের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু হল।
এদিনের হাড়হিম করা ঘটনার পর বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষের মন্তব্য, অরাজকতা সৃষ্টি হলে তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তার জন্য একমাত্র দায়ী পুলিস ও প্রশাসন। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এবং এই অস্থিরতার জন্য দায়ী শুধুমাত্র অকর্মণ্য পুলিস।