কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
রবিবার রাতে প্রকাশ্যে মহিলার গায়ে পেট্রল ঢালার বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে কোনওরকমে অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যালে রেফার করেন। পরে তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মহিলার পরিবার থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। দোষীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এদিন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় মানুষ সহ পরিবারের সদস্যরা। তুফানগঞ্জ থেকে বালাভূত যাওয়ার রাজ্য সড়কের দ্বীপরপাড় বাজারে পথ অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। ঘণ্টা খানেক ধরে চলা অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় সংশ্লিষ্ট রাস্তায়।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। একসময় পুলিসকে ঘিরেও কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। যদিও পরবর্তীতে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। মহিলার এক নিকট আত্মীয় বলেন, দাদা মারা যাওয়ার পর বাড়ির সামনে মুদির দোকান করে সংসার সামলান বউদি। প্রায়ই ওই ব্যক্তি দোকানে আসত। বউদি একা থাকার সুযোগে কিছুদিন থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল সে। রাজি না হলে রবিবার রাতে সে বউদির গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বউদি। এরআগেও বহুবার ওই ব্যক্তি বউদিকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। আমরা বিস্তারিত জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিস অবিলম্বে দোষীকে গ্রেপ্তার করুক।
বিক্ষোভকারী অরিন্দম শীল, দীপালি দেবনাথ প্রমুখ বলেন, ঘটনার পর চার দিন কেটে গেল অথচ মূল অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত অধরা। আমরা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধে শামিল হই। গ্রামের মধ্যে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা।
এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জের মহকুমা পুলিস আধিকারিক বৈভব বাঙ্গার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ওই ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবারের দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।