বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
মাদারিহাট বিধানসভায় বর্তমানে রামঝোরা, ঢেকলাপাড়া, দলমোড় ও লঙ্কাপাড়া এই চারটি চা বাগান বন্ধ। বুধবার বন্ধ বাগানের বুথগুলির লাইনে সকাল থেকেই পুরুষ ভোটারদের তেমনটা দেখাই গেল না। প্রতিটি বুথই ছিল কার্যত ফাঁকা। চোখে পড়ল শুধু মহিলা চা শ্রমিক ভোটারদেরই। লাইনে একসঙ্গে কোথাও পাঁচ-ছ’জন ভোটার দেখাই গেল না। যেমন দলমোড় চা বাগানের দলমোড় গারোবস্তি টিজি প্রাইমারি স্কুলে ভোটার ১৪০৯ জন। বাগান বন্ধ থাকায় এই বুথের শ্রমিকদের একটা অংশ ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছেন। বাগানের বাঁশবাড়ি লাইনের শ্রমিক বিষ্ণুমায়া মঙ্গর ও চেলি লামা ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে বলেন, বাগানের অনেক বাড়ির দুই-তিনজন করে বাইরে আছেন। ভোটের জন্য তাঁরা কেউই বাড়ি আসেননি।
রামঝোরা টিজি প্রাইমারি স্কুলে ৩৬ নম্বর বুথে ১০৫০ ও ৩৭ নম্বর বুথে ভোটার ১০৪৪ জন। দু’টি বুথই কার্যত ফাঁকা ছিল। শুধু মহিলা শ্রমিকদেরই ভোট দিতে দেখা গেল। বাগানের মুন্ডা লাইনের মহিলা শ্রমিক নিকিতা মুন্ডা। দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ওই মহিলা শ্রমিক ভোট দিয়ে বলেন, বাইরে কাজে থাকায় অনেক বাড়ির পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে আসেননি।
বন্ধ বাগানের মহিলা শ্রমিক ভোটাররা জানিয়েছেন, বাগান খুলুক এই প্রত্যাশা নিয়েই তাঁরা প্রতিবার ভোট দেন। এবারও রাজনৈতিক দলগুলি বাগান খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আশ্বাসই সার। প্রতিবারই তো বাগান খোলে না। এজন্য ভোট দিতে উৎসাহ কমেছে। বন্ধ দলমোড় বাগানের শ্রমিক দীপা মঙ্গর বলেন, ভোট দিলেও বাগান খোলে না। তবুও প্রতিবার ভোট দিই। যদি বাগান খোলে এই আশায়।
চা শ্রমিকদের ভোট পেয়েই ২০১৬ সাল থেকে মাদারিহাটে জিতে আসছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছেন শ্রমিকরা। বাগানে কেন্দ্রের কোনও উন্নয়ন নেই। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মাদারিহাটের চা বলয়ের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামে বিজেপির। এবার বন্ধ বাগানের পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরাট অংশ ভোট দিতে বাড়ি না আসায় অশনিসঙ্কেত দেখছে পদ্ম শিবির। যদিও বিজেপির এমপি মনোজ টিগ্গার দাবি, এসব তৃণমূলের নেতিবাচক প্রচার। শ্রমিকরা আমাদের পাশেই আছেন। উপ নির্বাচনে আমরাই জিতব।