কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
গত কয়েক মাস ধরে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। এই পরিস্থিতিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন তিনি। লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবেও দায়িত্ব ছেড়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘কানাডার বহু মানুষ চান তাঁদের দেশ যেন আমেরিকার ৫১তম প্রদেশ হয়ে ওঠে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখতে যে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি ও ভর্তুকি দরকার তা আমেরিকা আর বহন করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা খুব ভালো করেই জানতেন। তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।’ আমেরিকার সঙ্গে মিশে গেলে কানাডার সুফল প্রাপ্তির বিষয়টিও ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হলে কানাডার মানুষকে বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না। করের পরিমাণ অনেক কমবে। চীনা ও রুশ জাহাজ সবসময় কানাডাকে ঘিরে রাখে। এক হয়ে গেলে এক্ষেত্রে পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে কানাডা। একসঙ্গে আমরা এক মহান দেশ হয়ে উঠব।’ সপ্তাহ দু’য়েক আগেই ডেনমার্কের স্বশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর গত ৫ নভেম্বর মারে লাগো এস্টেটে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রুডো। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ বেশ কয়েকবারই কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট। তাতে অবশ্য খুব একটা কর্ণপাত করেননি ট্রুডো। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না। সম্প্রতি টরন্টোকে একাধিকবার দক্ষিণ সীমান্তে মাদক পাচার ও অবৈধ অভিবাসী রুখতে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনটা না করলে কানাডার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন রিপাবলিকান নেতা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই আবহে কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত করার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।