কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
বুধবার শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। তার আগেই শেখ হাসিনার আমলের নতুন সিলেবাস বাতিল করেছে ইউনুস সরকার। বদলে চালু হচ্ছে ২০১২ সালের পাঠ্যক্রম। সেজন্য ৪১ জন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ৪৪১টি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করেছে বাংলাদেশের জাতীয় বোর্ড। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইতে নতুন করে লেখা হয়েছে ওপার বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান। এরপর তিনি ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের হয়ে আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।’ শুধু তা-ই নয়, তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ে থাকা ‘আমাদের জাতির পিতা’ অধ্যায়টি এবারের পাঠ্যবইয়ে নেই।
গত সোমবার এই পরিবর্তনের কথা জানান জাতীয় পাঠক্রম ও পাঠ্যবই পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। পাঠ্যবই সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন লেখক-গবেষক রাখাল রাহা। তাঁর দাবি, ‘অতিরঞ্জিত’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ ইতিহাস থেকে পাঠ্যবইকে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। পাঠ্যবই সংশোধনের কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা দেখেছেন, পাকিস্তানি সেনার হাতে গ্রেপ্তার মুজিবুর ওয়্যারলেস বার্তায় স্বাধীনতার ঘোষণা করছেন, এটা বাস্তবসম্মত তথ্য নয়। যদিও আওয়ামি লিগের দাবি, স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুই। সেনাবাহিনীর মেজর (পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার) জিয়াউর রহমান ওই ঘোষণা শুধুমাত্র পড়ে শুনিয়েছিলেন। সেটাও মুজিবের নির্দেশেই। সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।