কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাজেটে সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে একধাক্কায় কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্লাটিনাম, প্যালাডিয়ামের মতো ধাতুর আমদানি শুল্কও ১৫ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। প্রত্যাশিতভাবেই আগস্ট মাসেই তার ফল পাওয়া যায়। একমাসের মধ্যেই ১০৪ শতাংশ বেড়ে যায় সোনা-রুপো আমদানি। আশা ছিল সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে শিল্পমহল। সস্তায় সোনা আমদানি করে বেশি মাত্রায় ভারতীয় অলঙ্কার পাঠাবে বিদেশে। সমৃদ্ধ হবে রপ্তানি বাণিজ্য। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। রপ্তানি উদ্বেগজনকভাবে কমছে। আবার অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমেই বাড়ছে সোনার দাম। এতে চরম ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ তারা বুঝতে পারছে, সস্তার সোনা আমদানি করে দেশেই নানাবিধ উপায়ে তা বিক্রি করে দিচ্ছে সংস্থাগুলি। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হীরে, সোনা, রত্নখচিত অলঙ্কার। বিশ্বের ১৫৩টি দেশে যায় শুধু সোনা। বিগত আর্থিক বছরে ভারত শুধুমাত্র হলুদ ধাতু রপ্তানি করেছিল ১৫ কোটি ডলারের। কিন্তু তখন থেকেই হঠাৎ ঘাটতি শুরু হয়েছে অলঙ্কার রপ্তানি বাণিজ্যে। ২২০০ কোটি ডলার মূল্যের গয়না পাঠানো হয়েছে বিদেশে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।
পরিসংখ্যান বলছে, অলঙ্কার, রত্ন রপ্তানি ২৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। অথচ নভেম্বর মাসে এসে দেখা যায় সোনা আমদানিতে রেকর্ড বৃদ্ধি, প্রায় ৩০০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। কারণ আমদানির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উৎপাদন এবং রপ্তানিও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এই প্রবণতা কেন? খতিয়ে দেখছে অর্থমন্ত্রক। অলঙ্কারে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ব্র্যান্ডকে আরও সম্প্রসারিত করে দ্রুত বিশ্ববাজারকে দখলে আশাবাদী ছিল মোদি সরকার। তা না হওয়ায় আসন্ন বাজেটে আবার সোনা আমদানির উপর শুল্ক বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। সোনার দাম এখনই সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে। এরপর হয়তো সোনা কেনা আম জনতার স্বপ্নেরও নাগালের বাইরে চলে যাবে।