কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সম্প্রতি এক ভিডিয়ো বার্তায় ‘প্রয়াগরাজ চলো’-র ডাক দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর এই নেতা। তাঁর লক্ষ্য অবশ্য ধর্মকর্ম নয়, নাশকতা চালানো। আর সেই কারণেই ‘হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শকে হত্যা করতে’ প্রয়াগরাজে হাজির হওয়ার ডাক দিয়েছেন পান্নুন। শুধু তাই নয়, লখনউ ও প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরে খালিস্তানি ও কাশ্মীরের পতাকা তোলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। ভিডিওর শেষে ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলাকে ‘যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার’ হুমকি দিয়েছেন এই খালিস্তানি নেতা।
এর আগেও পূর্ণকুম্ভ মেলায় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পান্নুন। মকর সংক্রান্তি (১৪ জানুয়ারি), মৌনী অমাবস্যা (২৯ জানুয়ারি), বসন্ত পঞ্চমীর (৩ ফেব্রুয়ারি) মতো শাহি স্নানের তারিখগুলিতে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। দশ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় হুমকি এলো। পান্নুনের প্রথম হুমকির তীব্র নিন্দা করেছিল অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। খালিস্তানি নেতাকে ‘উন্মাদ’ বলে কটাক্ষ করেন পরিষদের সভাপতি মোহন্ত রবীন্দ্র পুরী। তিনি বলেন, ‘পান্নুন যদি মহাকুম্ভে ঢোকার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আমরা এরকম বহু পাগল দেখেছি।’ খালিস্তানিদের এই হুমকির প্রেক্ষিতে প্রয়াগরাজজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যোগী সরকার।