কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
এখন কাশ্মীরে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা মুক্ত দাস। বরফ-কঠিন ডাল লেকের টানেই যে তিনি কাশ্মীরে এসেছেন, তা জানিয়েছেন অকপটে। তাঁর কথায়, ‘রাশিয়ায় জমে যাওয়া লেকের উপর দিয়ে হেঁটে চলার ভিডিও দেখেছি। আমারও স্বপ্ন ছিল এভাবে ঘুরে বেড়াব। যে মুহূর্তে জানতে পারলাম ডাল লেক বরফে পরিণত হয়েছে, তখনই এখানে আসার পরিকল্পনা করি।’ বরফজমা লেকের প্রেমে মশগুল মুম্বইয়ের বাসিন্দা সালাম কাদিরও। তাঁর মতে, এখনকার ডাল লেকের তুলনা করা যেতে পারে সুইজারল্যান্ড বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কোনও দেশের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিও যেন ইউরোপের কোনও দেশের মতোই হয়ে উঠেছে। যে কারও মনে হবে তাঁকে ইউরোপের কোনও শীতপ্রধান দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। এসবই এখন মিলছে কাশ্মীরে।’ কাশ্মীরের অনেক জলপ্রপাত এখন জমে বরফ। উলম্বভাবে দাঁড়িয়ে জলরাশি। সেই সৌন্দর্যে মোহিত দিল্লির বাসিন্দা রাহুল কুমার। তাঁর কথায়, ‘জমে যাওয়া জলপ্রপাত কেবল তথ্যচিত্রেই দেখেছি। এখন নিজের চোখে দেখছি। এর রেশ থেকে যাবে জীবনভর।’
এই বিপুল পর্যটক আগমনে খুশি শিকারাচালকরাও। পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘অধিকাংশ পর্যটকই ডাল লেকের জমে যাওয়া অংশে যেতে চাইছেন। তাঁরা এর উপর দিয়ে হাঁটছেন। ছবি তুলছেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। ইনস্টাগ্রামে বরফ-কঠিন ডাল লেক ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।’ আর পর্যটন ব্যবসায়ী আসিফ আহমেদ মালিক বলেন, ‘এই মরশুমে ৩০ শতাংশ বেশি পর্যটক এসেছেন। এসবই জমা ডাল লেকের সৌজন্যে। অনেকের কাছেই এটা সারাজীবনের অভিজ্ঞতা।’