কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পাট্টিলিঙ্গম জানিয়েছেন, নিহত জওয়ানরা মাওবাদী দমন অভিযানে বিশেষভাবে দক্ষ ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডে (ডিআরজি) কর্মরত ছিলেন। গত দু’-তিনদিন ধরে ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল ওই ডিআরজি টিম। রবিবার অবুঝমাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই মহিলা সহ পাঁচ মাওবাদীর। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও। জানা গিয়েছে, সেই অভিযান সম্পন্ন করেই একটি এসইউভি গাড়িতে দান্তেওয়াড়ার বেস ক্যাম্পে ফিরছিলেন ওই জওয়ানরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁরা বিজাপুরের কুটরুতে পৌঁছতে বিস্ফোরণ ঘটে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, কোথায় গলদ ছিল, তা খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে। বাহিনীর গাড়িটিও সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। বনেটটি পার্শ্ববর্তী গাছের মগডাল ঝুলছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হামলার জন্য ‘ফক্স হোল’ পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল মাওবাদীরা। অর্থাৎ, ওই রাস্তায় একটি বড় গর্ত তৈরি করে সেটিকে পাথর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভিতরে কোনও বিস্ফোরক না থাকায় অ্যান্টি-মাইন অভিযানে লাভ হয়নি। পরে সঠিক সময় বুঝে ওই গর্তে আইইডি রেখে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।