কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
ক’দিন পর গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে এদিন সাগরে গিয়ে মেলার প্রস্তুতি সহ অন্যান্য দিকগুলি সরেজমিনে দেখেন তিনি। সেই সূত্রে তিনি কপিলমুনির মন্দিরের পরিচালন কর্তৃপক্ষ অযোধ্যার হনুমানগড়ির পঞ্চনির্মাণী রামানন্দীয় আখড়াকেও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্দিরে প্রণামী ও অনুদান বাবদ যে কোটি কোটি টাকা জমা পড়ে, তার পুরোটাই এই ধর্মীয় সংগঠন অযোধ্যায় নিয়ে চলে যায়। কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করে সমুদ্রের ভাঙন থেকে মন্দিরকে বাঁচানোর জন্য এই টাকার একাংশ খরচ করার উদ্যোগ নিতে আখড়াকে আবেদন করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার তো গঙ্গাসাগরের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করছে। মন্দির বাঁচানোর জন্য কর্তৃপক্ষ এটুকু তো করুক।’ অতীতে তিনবার যে মন্দির সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন মমতা। মন্দিরে পুজো দিতে এসে মোহন্ত জ্ঞানদাস মহারাজকে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, সংগৃহীত অর্থের অন্তত ২৫ শতাংশ খরচ করা হোক ভাঙন রোধে। এরপর মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে তীর্থযাত্রী ও স্থানীয় লোকজনকে তিনি জানান, মোহন্ত মহারাজ তাঁর এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। সঞ্জয় দাস মহারাজ জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো কাজ করবেন। প্রসঙ্গত, সমুদ্রের পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন মন্দিরের কয়েকশো মিটার দূরে চলে এসেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সেখানে এবার স্নান নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। শালবল্লা বসিয়ে নানাভাবে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সেচদপ্তর।
কপিলমুনির আশ্রম, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া মৎস্যজীবীদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান—তিন জায়গাতেই গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি ও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মুড়িগঙ্গার উপর সেতু তৈরির বিষয়টি উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁকে সেতু নির্মাণের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর অপেক্ষার পরেও কেন্দ্র কিছু না করায় রাজ্য সরকার নিজেই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দেড় হাজার কোটি টাকা খরচে সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিআর হয়ে গিয়েছে। ডাকা হয়েছে টেন্ডার। তিন-চার বছরের মধ্যে সেতু হয়ে গেলে সাগরে যেতে আর নদী পেরতে হবে না। তবে সাবধানে নির্মাণকাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, জলবেষ্টিত সুন্দরবনের সন্দেশখালি-হিঙ্গলগঞ্জ ও গোসাবা-পাথরপ্রতিমা পৃথক মহকুমা হবে। তাতে এসব এলাকার মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পাবেন।