বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ সহ আরও একঝাঁক আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রীতিমতো খড়্গহস্ত হয়েছে ডাবল ইঞ্জিন বহু রাজ্যের উপর। তারা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, এটা কোনও বিচারব্যবস্থাই নয়। এই পর্যায়ে আসার আগে অনেকগুলি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। অর্থাৎ নোটিস দেওয়া, জরিমানা, মামলা এবং তারপর কাঠামো অবৈধ প্রমাণিত হলে, সেটি চিহ্নিত করা। সব পদ্ধতি ব্যর্থ হলে বুলডোজারের ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু তার মানে, সেটাও রাতারাতি গৃহহীন করে দেওয়ার বিনিময়ে নয়। সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি জানিয়েছে, সংবিধান কি এভাবে বিচারের অধিকার দিয়েছে? শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনা, প্রশাসন অর্থাৎ সরকার কাউকে দোষী ঘোষণা করতেই পারে না। সেই অধিকার মৌলিকভাবে ন্যস্ত একমাত্র বিচার বিভাগের উপর। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন বুধবার বলেছেন, লক্ষ করা যাচ্ছে, একদিকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, একই রকম অন্য সম্পত্তিতে হাতই দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, নিছক বেআইনি কাঠামো বলেই কারও বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এমন নয়! নিশ্চয়ই অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে এই বুলডোজার জাস্টিসের! বেআইনি নির্মাণ ভাঙারও দীর্ঘ ধাপ রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, সরকার কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করল, আর হঠাৎ তার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হল। এটা হলে বুঝতে হবে, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। আইনিভাবে কোনও স্ট্রাকচার ভাঙার নোটিস অনুমোদিত হলেও সময় দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়। সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি সতর্ক করেছে সরকারি আধিকারিকদেরও। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, প্রশাসন অথবা পুলিশ যেই হোক, যারাই এই অবৈধভাবে বুলডোজার জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, দায় নিতে হবে তাদেরও। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি প্রমাণিত হয় যে তাঁরা বেআইনি কাজ করেছেন, তাহলে তাঁদের ব্যক্তিগত খরচে ওই ভেঙে দেওয়া সম্পত্তি গড়ে দিতে হবে, অথবা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।