বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
রাহুল গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া কেরলের এই লোকসভা আসনে প্রার্থী হয়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এই উপ নির্বাচনেই তাঁর ভোট রাজনীতিতে হাতেখড়ি। জয় নয়, মূল চ্যালেঞ্জ দাদার জয়ের ব্যবধানকে পিছনে ফেলে দেওয়া। খুশি মনে সেই লক্ষ্যেই বোনের হয়ে প্রচার সেরেছেন রাহুল। আর বুধবার ভোটের সকালে এক্স হ্যান্ডলে ওয়েনাড়ের জন্য বার্তা দিলেন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস প্রার্থী লিখলেন, ‘আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা, দয়া করে আজ ভোট দিন। এই দিনটা আপনাদের। নিজেদের পছন্দ বেছে নেওয়া ও সংবিধান প্রদত্ত সবচেয়ে মহান ক্ষমতা প্রয়োগের দিন। চলুন, একসঙ্গে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি!’
কিন্তু অভিশপ্ত ৩০ জুলাইকে ভুলবে কী করে ওয়েনাড়? কী করে ভুলবে প্রকৃতির সেই রুদ্র মূর্তি! নিমেষে শেষ তিন-তিনটি পাহাড়ি গ্রাম— মুন্দাক্কাই, চুড়ালমালা ও মানচিরিমাত্তম। ভূমিধসে কাদা-মাটির নীচে কয়েকশো বাড়ি। মৃত্যু দুই শতাধিক মানুষের। গৃহহীন হাজার হাজার মানুষকে প্রশাসন বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। উপ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রশাসনের তরফে তাঁদের ফের নিজ নিজ এলাকার ভোট দেওয়ার জন্য নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। তিনটি বিপর্যস্ত গ্রাম থেকে বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত মানুষকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আনার জন্য বিনামূল্যে গাড়ি ও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনেকেই গত লোকসভা ভোটে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু এবার আর সঙ্গে প্রিয় মানুষটি নেই। তাই চোখের জল বাধ মানছে না। বুথের বাইরে চোখ মুছতে মুছতে এক বৃদ্ধ বললেন, ‘ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই একত্রে সব উৎসব পালন করতাম। কিন্তু কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল!’ প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা করা একই বাসে ভোট দিতে এসেছেন ওই বৃদ্ধের এক বন্ধু। সমবেদনার সুরে তিনি বললেন, ‘কান্না থামাও, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বললেন, ‘ওই মারণ-ধসের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতদিন পর তাঁদের সঙ্গে ফের দেখা হচ্ছে। প্রথমেই আমরা জানতে চাইছি, কোথায় আছ? কেমন আছ?’
‘নাহি ক্ষয়, নাহি শেষ, নাহি নাহি দৈন্যলেশ...।’