শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
বিষমদকাণ্ডে দেড়শো জনেরও বেশি চা শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। অসমের ইতিহাসে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছে তারা। সরব হয়েছে অসম চা মজদুর ইউনিয়ন সহ একাধিক সংগঠন। সোমবার গোলাঘাটে একটি প্রতিবাদ মিছিলও করে তারা। মিছিলের শেষে আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লা বৈদ্য ও চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আদিবাসীদের উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পল্লবলোচন দাসের কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। এদিকে, বেআইনি মদ তৈরি ও বিক্রি বন্ধ করতে জেলাভিত্তিকভাবে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লা বৈদ্য। বেআইনি মদ তৈরি করে তা বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোলাঘাট ও জোরহাট জেলা থেকে মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিষমদকাণ্ডে গোলাঘাট ও জোরহাট এলাকার চা বাগানের প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন রাতেই ১২ জনের মৃত্যু হয়। জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার পথেই ২০ জনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অন্তত ৭৮ জন। বর্তমানে সেখানে ২৫০ জনেরও বেশি শ্রমিকের চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি, গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৫৫ জনের। আরও ৫৭ জন শ্রমিক সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষমদকাণ্ডে তদন্তের জন্য উচ্চ অসমের ডিভিশন কমিশনার জুলি সোনেওয়ালতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা ও অসুস্থদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেন তিনি। যদিও সরকারের এই ভূমিকায় খুশি নয় বিরোধী দল কংগ্রেস। বিষমদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে সরব হন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।