শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি মেনে শুক্রবার ওই ছয় সম্প্রদায়কে অরুণাচলে স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র দেয় যৌথ উচ্চ পর্যায়ের কমিটি (জেএইচপিসি)। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে চীন সীমান্তে অবস্থিত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রবিবার উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেনের ব্যক্তিগত বাসভবন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পেমা খাণ্ডুর বাসভবন টার্গেট করতে যাওয়ার সময় পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। হামলা চালানো হয় রাজধানী ইটানগরের ডেপুটি কমিশনারের অফিসে। ভাঙচুর করা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি অফিস, কার্যালয় এমনকী ইটানগর থানাও। পুলিসের বেশ কিছু গাড়ি সহ ১৫০টিরও বেশি যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যে জারি রয়েছে কার্ফু। হিংসায় ইতিমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আঁচ করে রবিবারই সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়দের স্থায়ী বসবাসের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তাতেও ক্ষোভ প্রশমন করা যায়নি আন্দোলনকারীদের। সেইমতো সোমবার কার্ফু উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় উত্তপ্ত জনতা। যার জেরে এদিনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেনাবাহিনীকে রুট মার্চ করতে দেখা গিয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘অরুণাচল বিশেষ করে ইটানগর শান্ত জায়গা। আমি মনে করি এই হিংসার পিছনে (বহির্রাজ্যের) বাহিনীর হাত রয়েছে।’ তবে, পিআরসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্থগিত বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সর্বভারতীয় এক টিভি চ্যানেলকে খাণ্ডু বলেছেন, ‘আমরা আর কখনও পিআরসি ইস্যু তুলব না। এটা স্থগিত।’
‘বাহিনী’ বলতে মুখ্যমন্ত্রী কী বোঝাতে চেয়েছেন? ওয়াকিবহল মহলের মতে, রাজ্যে অস্থিরতার জন্য খাণ্ডু চীনকে ইঙ্গিত করেছেন। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নামসাই ও চ্যাংলাং জেলায় বসবাস করলেও দেউরিস, সোনেওয়াল-কাছারিস, মোরানস, আদিবাসী, মিশিংস এবং বিজয়নগরের গোর্খাদের অরুণাচলের স্থানীয় নাগরিকত্ব ছিল না। পেমা প্রশাসন সেই উদ্যোগই নিয়েছিল।