শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কাশ্মীরে আধাসেনাদের কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটি কার, তা নিয়ে প্রথম থেকেই খোঁজখবর করছিলেন অফিসাররা। কারণ এর মধ্যেই যে অনেক রহস্য, তা তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন। প্রথম থেকেই তাঁদের সন্দেহ ছিল, হাতবদল হয়েই গাড়িটি জঙ্গিদের কাছে এসেছে। ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডাকা হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও গাড়িটির প্রস্তুকারক সংস্থার কর্তাদের। সেখান থেকেই জোগাড় করা হয় তার ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর। শুরু হয় রহস্যের জট খোলা। জানা যায়, ২০১১ সালে গাড়িটি কেনেন অনন্তনাগের হেভেন কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ জলিল আহমেদ হাক্কানি। এরপরই তাঁর বাড়িতে যায় এনআইএর টিম। তিনি অফিসারদের জানান, গাড়িটি অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। যিনি গাড়িটি কিনেছিলেন, তাঁর কাছে পৌঁছন অফিসাররা। সূত্র খুঁজতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁরা জানতে পারেন, এভাবে গাড়িটির সাতবার হাতবদল হয়েছে। শেষে এনআইএ পৌঁছয় অনন্তনাগের বিজবেহারা জেলার বাসিন্দা সাজ্জাত ভাটের কাছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত সাজ্জাদের কাছেই গাড়িটি ছিল। সে ভালো দামেই গাড়িটি কেনে। পরে তার কাছ থেকে গাড়িটি নিয়ে যায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল। তদন্তে উঠে এসেছে, সাজ্জাদ কিছুদিন আগে জয়েশে নাম লিখিয়েছে। সে পাকিস্তানে গিয়েছে। সেখানে তার প্রশিক্ষণ হয়েছে। পুলওয়ামা হামলায় অংশ নেওয়া জয়েশ জঙ্গি আদিলের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণও মিলেছে। দু’জনের মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও একাধিকবার কথা হয়েছে বলে খবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। সাজ্জাদ উপত্যকার কোথাও লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে এনআইএ। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি।