কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা সাম্প্রতিক সময়ের প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। সাগরদ্বীপ থেকে বাংলাদেশের জল সীমানা খুব দূরে নয়। এর আগেও সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের গতিবিধি নজরে এসেছে সাগরদ্বীপ ও সংলগ্ন জম্মুদ্বীপ ও মৌসুনি দ্বীপে। বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে ভারতীয় জল সীমানার এই অংশে কোস্টাল পুলিস ও কোস্ট গার্ডের টহলদারি বেড়েছে। গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার আঁটুনি এখন আরও শক্ত। আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরু হতে আর দিন দুয়েক বাকি। উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফটগুলি উপকূলে টহল দিচ্ছে। আকাশপথেও নজরদারি অব্যাহত। মেলাজুড়ে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা বসেছে। আকাশে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। আরও বেশি সংখ্যক ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে। মেগা কন্ট্রোল রুম খুলে পুরো মেলা প্রাঙ্গণের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশে ধৃত রাজ্যের মৎস্যজীবীদের উপরে সেখানে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। সোমবার গঙ্গাসাগরে এসে প্রথম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একথা জানিয়েছিলেন। গঙ্গাসাগর সফরের দ্বিতীয় দিনে সরাসরি নাম না করলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করলেন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রসঙ্গটি এদিন ফের উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কুম্ভমেলার জন্য পুরো টাকা, অথচ গঙ্গাসাগর মেলার জন্য একটি পয়সাও নয়? বাংলা সব সময় বঞ্চিত। কেন্দ্রীয় সরকার কিছুতেই গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দিচ্ছে না।’ সুযোগ পেলে এই মর্যাদা যে তাঁর হাত ধরেই আসবে, তাও জানিয়ে দেন প্রত্যয়ী মমতা।