কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুরে দলের ইংলিশবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে (নন্দু) তলব করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইংলিশবাজার থানার পুলিস। একই সঙ্গে থানায় ডেকে জেরা করা হয় তাঁর দুই ভাই বীরেন্দ্রনাথ ও অখিলেশ তিওয়ারিকেও। প্রথমে আইসি, এরপর দুই অতিরিক্ত পুলিস সুপার এবং গভীর রাত পর্যন্ত পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব নিজেই জেরাপর্বে অংশ নেন। রাত পর্যন্ত দফায় দফায় নানা তথ্য জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জেরায় এদিন ঠিক কোন কোন বিষয় উঠে এসেছে, তা নিয়ে তদন্তকারীরা মুখ খোলেননি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের পুরসভা ভোটের ফল বেরনোর দু’দিন পর ইংলিশবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। সেই দুই পক্ষের একদিকে ছিল প্রয়াত তৃণমূল নেতা বাবলার অনুগামীরা, অন্যদিকে তৃণমূলের ইংলিশবাজার টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির অনুগামীরা। যদিও এই ঘটনার পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যে আর কোনও ঝামেলা লক্ষ্য করা যায়নি। স্থানীয়রাও বলছেন, মাঝে মাদক সংক্রান্ত কিছু ছোটখাট ঘটনা ছাড়া এলাকায় উদ্বেগজনক কিছু ঘটেনি। মোটের উপর শান্তই ছিল এলাকা। তবে তিন বছর আগের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে কিছু ঘটেছিল কি না, সেসব জানতেই এদিন ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রয়াত তৃণমূল নেতার স্ত্রী চৈতালি সরকার। বারবার শ্যুটআউট কাণ্ডের মূল মাথাকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি। সুপারি কিলারকে কন্ট্রাক্ট দিয়েই বাবলাকে যে খুন করা হয়েছে, সেবিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা। ঘটনায় বিহার ও ঝাড়খণ্ডের যোগ মিলেছে। কিন্তু এদের পিছনে মূল মাথা কে, তার হদিশ পাওয়ার দিকেই ফোকাস করছেন তদন্তকারীরা। মৃতের স্ত্রীও বারবার প্রভাবশালীর যোগ থাকার জোরালো সম্ভাবনা থাকার কথা বলেছেন। তারপরেই নন্দু ও তাঁর দুই ভাইকে দফায় দফায় কয়েক ঘণ্টা জেরা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। এদিন বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিছুক্ষণের জন্য থানার বাইরে আসেন বীরেন্দ্রনাথ। সেই সময় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁদের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বীরেন্দ্রনাথের কথায়, পুলিস ফোন করে আমাকে ডেকেছিল। তারপর আমরা তিন ভাই থানায় এসেছি। তদন্তে পুলিসকে সবরকম সাহায্য করছি। এই ঘটনায় আমি বা আমাদের বাড়ির কেউ জড়িত নয়। নরেন্দ্রনাথকে খুনের ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হতে পারে।