কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, ভূমি রাজস্বের ক্ষেত্রে একটি আর্থিক বছর হয় ১৬ এপ্রিল থেকে পরের বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ভূমি রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে গত চার মাসেই আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা, যা কার্যত নজিরবিহীন বলেই জানাচ্ছে প্রশাসনিক মহল। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের ভূমি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ অন্তত ১৩০০ কোটিতে পৌঁছবে বলে ধরে নিচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। এই বৃদ্ধির পিছনে আসল কারণ কী? মূলত অকৃষি জমির খাজনা, দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি সরকারি জমির লিজ, কিছু ক্ষেত্রে খনি ও খনিজ পদার্থ বাবদ আদায়, ইটভাটা বাবদ আদায় বৃদ্ধি পাওয়াতেই এই সার্বিক সাফল্য নজরে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। সম্প্রতি লিজ জমি পুনর্নবীকরণের খরচ কমানো হয়েছে। অনলাইনে খাজনা দেওয়ার পরিষেবা নিয়েও জোর প্রচার চালানো হচ্ছে। ফলে দু’টি ক্ষেত্রেই রাজস্ব আদায় অনেকটা বেড়েছে বলে খবর।
রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে এই খাতে আদায় হয়েছিল এক হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি। তার মধ্যে অধিকাংশই আদায় হয়েছিল ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে। প্রথম আট মাসের আদায় ছিল মাত্র প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। সেই জায়গায় এই বছর প্রথম আট মাসেই আদায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটি টাকায়। সূত্রের খবর, ইটভাটার মালিকদের রাজস্ব জমা দেওয়া আরও সহজ হতে চলেছে। কারণ, খুব শীঘ্রই অনলাইনে এই টাকা জমা দেওয়ার ব্যাবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজস্ব আদয়ের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তেরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদী প্রশাসনের কর্তারা।