কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কড়া প্রতিক্রিয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিস। সন্ধ্যার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত দুই ‘সুপারি কিলার’কে। মানিকচকের ভূতনির চণ্ডীপুর ঘাটের কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিস তাদের পাকড়াও করে। গঙ্গা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে পালানোর মতলব ছিল দু’জনের। বাগবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খুনের সময় ব্যবহৃত নম্বরপ্লেট বিহীন মোটরবাইকও। পুলিস জানিয়েছে, একটি ঝোপের মধ্যে সেটি ফেলে রেখে ঘাটের দিকে যাচ্ছিল দুই দুষ্কৃতী। তাদের একজন বিহারের এবং অপরজন ইংলিশবাজারের বাসিন্দা। যদিও নাম পরিচয় জানানো হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাবলা সরকারকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনায় জড়িত বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ চলছে।
এর আগেও একবার খুনের চেষ্টা হয়েছিল বাবলাবাবুকে। তারপর থেকে আদি বাড়ি ছাড়াও ইংলিশবাজারে নিজের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ ইংলিশবাজারের সুভাষপল্লির ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পাইপ লাইন এলাকায় নিজের প্লাইউড কারখানায় যান বাবলাবাবু। গাড়ি থেকে নামামাত্রই তাঁকে ঘিরে ধরে মুখ ঢেকে বাইকে চেপে আসা চার দুষ্কৃতী। বিপদ বুঝে দৌড়ে উল্টোদিকের একটি দোকানের ভিতর ঢুকতে যান তিনি। দোকানের সিসি ক্যামেরার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দোকানে থাকা দুই ব্যক্তি কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান। সেখানে ঢুকেই গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। লুটিয়ে পড়েন বাবলাবাবু। এরপর তাঁর মাথায় গুলি করে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়েই পালিয়ে যায় দু’জনে। অপারেশন চলাকালীন বাইরে পিস্তল হাতে পাহারায় ছিল এক দুষ্কৃতী। বাইক চালু অবস্থায় রেখে অপেক্ষা করছিল আরও একজন।