কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বেশ কড়াভাবেই সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরে সেমেস্টার! ব্রাত্য তুমি শিক্ষামন্ত্রী। তবে শিক্ষায় যদি কোনও কোনও নয়া নীতি আনা হয়, তবে আগে আমাদের জানাতে হবে।’ ব্রাত্য উত্তরে বলেন, ‘কাগজ দেখে আমিও পরশু সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। আপনি সম্মতি দিলে নোটিফিকেশন হবে।’ এতে আরও খেপে যান মুখ্যমন্ত্রী। কাগজে আগে এই খবর বেরল কেন, তা জানতে চান। বলেন, ‘আমি কিছু শুনতে চাই না। মানুষের কাছে বার্তা চলে গিয়েছে। ওটা কিন্তু হবে না। চারজন বিশেষজ্ঞ মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন আর হয়ে গেল! আমি চাই বাচ্চাদের বোঝা কমাতে, ব্যাগের ওজন কমাতে। ওরা টুইঙ্কল টুইঙ্কল বলতে পারে না, সেমেস্টার দেবে! কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা অভ্যস্ত। স্কুলে তা চলবে না।’ এতে অনেকে ভাবতে শুরু করেন, তাহলে কি উচ্চ মাধ্যমিকের সেমেস্টার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল?
দমদম মেলার উদ্বোধনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে সেমেস্টার চালু মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমেই হয়েছিল। তবে, প্রাথমিক নিয়ে কোনও নোটিফিকেশন হয়নি। পর্ষদ শিক্ষাদপ্তরের কাছে পাঠিয়েছিল। শিক্ষাদপ্তর মুখ্যসচিবের কাছে পাঠায়। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, প্রাথমিকে সেমেস্টার চালুর অনুমোদন আপাতত দিচ্ছেন না। এটা হচ্ছে না। ব্যস, এরপরে এটা নিয়ে আর আলোচনা বা বিতর্কের জায়গা নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, পর্ষদ তাহলে কীভাবে এই ঘোষণা করল! সূত্রের খবর, পর্ষদের কাছে শিক্ষাদপ্তরের অর্ডার ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি রয়েছে ধরে নিয়েই তা ঘোষণা করা হয়। যদিও পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।