কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো চাই ওখানেও (বাংলাদেশ) শান্তি থাক। কিন্তু শান্তি থাক এখানেও। আমাদের দুই বাংলার মধ্যে কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই। কিন্তু এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা বর্ডার দিয়ে ঢুকে খুন করে চলে যাচ্ছে। এটা বিএসএফের অনেক ভিতরের কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে। তাছাড়া এই অশান্তি সম্ভব নয়। আমার রাজ্যকে ডিস্টার্ব করার জন্য জঙ্গিহানায় মদত দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে।’
প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সীমান্তবর্তী জেলার বেশ কয়েকজন পুলিস সুপার সহ রাজ্য পুলিসের একাংশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,‘ইসলামপুর, সিতাই, চোপড়া সহ একাধিক এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছে বিএসএফ। মেয়েদের উপর অত্যাচার করছে। তারপরও আপনারা (পুলিস) কিছু করেননি কেন?’ বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারকে ক্ষুব্ধ মমতার নির্দেশ, ‘বিএসএফ কোথায় কোথায় লোক ঢুকিয়েছে, খুঁজে বের করুন।’ বাংলায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ যে আসলে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের ঘৃণ্য চক্রান্ত, তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। তাঁর যুক্তি, ‘সীমান্তের দায়িত্ব বিএসএফের হাতে। যারা বাইরে থেকে আসে, তাদের ভিসাও আমাদের হাতে নেই। কেন্দ্রের হাতে। যারা প্লেনে আসে, তাদের লিস্ট আগে আমাদের দিত। এখন আর দেয় না। আমরা জানতেও পারি না, কারা ঢুকছে। ট্রেন চলছে, বাস চলছে, বিএসএফও চলছে। কেউ যদি মনে করে, অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করবে, তাহলে ভুল ভাবছে। এই অধিকার বা সাধ্য—কোনওটাই ওদের নেই।’ তবে বিএসএফের এই ভূমিকা মুখ্যসচিবকে না জানানোর ব্যাপারেও জেলাশাসক-পুলিস সুপারদের ভর্ৎসনা করেন ক্ষুব্ধ মমতা।
বৈঠকেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, কোচবিহারের দিনহাটায় রাজ্য পুলিসকে না জানিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি গিয়ে দিল্লি পুলিস তল্লাশি চালিয়েছে। এই ইস্যুতে জেলার পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এসব আর বরদাস্ত করা হবে না। বিএসএফকে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছ? দিল্লি পুলিসকে বিরিয়ানি? আর রাজ্যটাকে রসাতলে পাঠাচ্ছ! এসপি যদি নিজেই চুপচাপ বসে থাকেন, তাহলে চলে? এমন এসপি থাকার দরকার নেই। কাজ না করলে, নিয়ম না জানলে, তাকে এসপি করে পাঠাবে না।’