কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
ইংরেজি নতুন বর্ষ শুরুর আগে থেকেই তারাপীঠে হাজার হাজার পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়েছে। রাত্রিবাসের জন্য তাঁরা নিজেদের পছন্দমাফিক হোটেলে ঘর ভাড়া করেন। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দালালরা পর্যটকদের হোটেলে নিয়ে গিয়ে ঘর ভাড়া করিয়ে দেন। বিনিময়ে হোটেল মালিকদের কাছ থেকে কমিশন পান দালালরা। আবার অনেকে সরাসরি হোটেল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে ঘর ভাড়া করেন। অধিকাংশ পর্যটক মন্দিরের কাছাকাছি হোটেলে থাকতে চান। ইদানিং বেশকিছু হোটেল পর্যটকদের উপর অলিখিত ফতোয়া জারি করছে। অভিযোগ, হোটেল কর্তৃপক্ষর ঠিক করে দেওয়া পান্ডাকে দিয়েই পুজো দিতে বাধ্য করানো হচ্ছে। না হলে ঘর মিলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, ওই সব হোটেল মালিকদের সঙ্গে পান্ডাদের একাংশের যোগ রয়েছে। পর্যটক পিছু পান্ডাদের কাছ থেকে কমিশন নিচ্ছে সেই সব হোটেল। রুম পছন্দ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই সেই ফতোয়া মেনে নিচ্ছেন। কেউ বা অন্য হোটেলে গিয়ে উঠছেন। এদিকে ১ পৌষ থেকে মন্দিরে পুজো দেওয়ার নিয়মে বদল এসেছে। সাধারণ লাইন ছাড়াও বিশেষ লাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। বিশেষ লাইনে পুজো দিতে গেলে মন্দির কমিটির অফিস থেকে ভক্ত পিছু ৫০০ টাকা দিয়ে কুপন সংগ্রহ করতে হবে। সেই কুপন পিছু কমিশন রয়েছে বলে পান্ডাদের সূত্রের দাবি। পরে পান্ডাদের থেকে সেই কমিশনের একটা অংশ বুঝে নিচ্ছে হোটেলগুলি।
সুনীল গিরি বলেন, এসব চলতে দেওয়া যাবে না। এতে বদনাম হচ্ছে। আমরা হোটেল ব্যবসা করছি। মন্দিরে পুজো দেওয়ার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।