কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
জেলাশাসক ও এসপিরা এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর কোপে পড়েন মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ যাদব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিস সুপারের অপদার্থতার জন্য খুন হতে হয়েছে তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলার বাবলা সরকারকে। তাঁর উপর আগেও আক্রমণ হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর পুলিসি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়! মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়ার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধির খুন হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। আপনারা যদি কালিয়াচক ও সীমান্ত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে জেলার উন্নতি হবে না। বিএসএফের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে আপনারা অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছেন। বিএসএফের এই কাজের প্রতিবাদ করছেন না আপনারা।
মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র অসন্তোষের মুখে পড়েন বীরভূমের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায়। তিনি সরাসরি বলেন, বীরভূম নিয়ে আগে যতটা খুশি ছিলাম এখন আর ততটা নই। বীরভূম থেকে সবচেয়ে বেশি বালি পাচার কেন হচ্ছে? দেউচা পাচামিতে কেউ কেউ কী করছে, তা আর বললাম না। কার নির্দেশে এসব হচ্ছে? এই পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য জেলশাসককে সাতদিন সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বীরভূমে যা হচ্ছে তা আমাদের নেতাদের কথায় হচ্ছে না। ওখান থেকে বিজেপির কাছে টাকা যাচ্ছে। কোনও দলের কাছে টাকা যাবে না। মানুষের টাকা মানুষের জন্যই খরচ হবে। এই পরিস্থিতির দায় জেলাশাসক যে অস্বীকার করতে পারেন না তাও সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের এসপিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিউড়ি, মহম্মদবাজার, দুবরাজপুরের আইসি কী করে বেড়াচ্ছেন, তার সব খবর আমি রাখি। ঠিক করার জন্য সাতদিন সময় দিলাম। যে মানুষের জন্য কাজ করে না, তাকে আমি রেয়াত করি না। কোচবিহারে এসে দিল্লি পুলিস কেন স্থানীয় বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব খতিয়ে দেখল? তার জন্য জেলার এসপিকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অর্থসচিব প্রভাত মিশ্রকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আপনি ‘জেন্টলম্যান’। কিন্তু আপনাকে আরও একটু সক্রিয় হতে হবে। অর্থদপ্তরে কীভাবে ফাইলের পর ফাইল জমে থাকে তা আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। অফিসে শুধু মিটিং মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়। ভূমিদপ্তরের সচিব বিবেক কুমার প্রশাসনিক বৈঠকে দপ্তরের কাজকর্মের বিস্তারিত যে রিপোর্ট পেশ করেন তাতে সন্তুষ্ট হন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যদপ্তরের সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, সরকারি হাসপাতালে রেফার কেস ৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশ হয়েছে। এতে সন্তুষ্ট হননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৩ শতাংশ যারা করছে তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘুমোতে বলুন। এই ব্যাপারে পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখারই নির্দেশ দেন তিনি।
বাইরের রাজ্যে আলু পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। প্রাথমিকে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কোপে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে তিনি বলেন, তাঁর দপ্তর তো ‘সাইলেন্ট’ হয়ে আছে! অফিস টাইমে মানুষ কোথায় কোথায় যানবাহন পাচ্ছে না? পরিবহণ মন্ত্রীকে ঘুরে দেখেই সেসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।