কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
দৃশ্য ২: হাঁটুর সমস্যায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। কাজেকর্ম প্রায় শিকেয় উঠেছিল। বাড়ি থেকে অনেক দূর ডায়মন্ডহারবার হাসপাতাল। তাই যেতে পারছিলেন না। কিন্তু প্রায় বাড়ির উঠোনে ক্যাম্প হওয়ায় চিকিৎসককে দেখাতে পারলেন ভণ্ডুল বর নামে এক গ্রামবাসী। এঁরা শুধু নন, বহু মানুষ সুবিধা পেলেন সেবাশ্রয় ক্যাম্পের।
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া এই স্বাস্থ্যশিবিরে বহু মানুষ এসেছিলেন। নানা ধরনের অসুস্থতার চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রত্যেকের বক্তব্য, ‘ভালো পরিষেবা পেলে আর কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। মানুষের স্বাস্থ্যই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাড়ির কাছে এমন শিবির হওয়ায় খুব সুবিধে হয়েছে।’ এই স্বাস্থ্যশিবিরে রয়েছে চমক। ব্লক বা পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে ব্যবস্থা নেই তা মিলবে এখানে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যেসব জায়গায় মডেল সেবাশ্রয় ক্যাম্প হবে, সেখানে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারের এসডিও মাঠে মডেল শিবির হয়। সেখানে দু’শয্যা সহ ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা ছিল। এছাড়া যখন যে বিধানসভায় মডেল ক্যাম্প হবে সেখানেও এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। উদ্দেশ্য, ডাক্তার দেখাতে এলে বা রাস্তা দিয়ে যদি কোনও মুমূর্ষ রোগী হাসপাতালে যাওয়ার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে এই ক্যাম্পে এনে তাঁকে স্থিতিশীল করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রথম দিন ডায়মন্ডহারবার বিধানসভায় ৪১টি ক্যাম্প করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে দু’হাজারেরও বেশি রোগী ডাক্তার দেখিয়েছেন। ক্যাম্প উদ্বোধনের পর রোগী, চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, ‘এমন কর্মসূচি দেশের কোথাও হয়নি।’ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা যাতে এমন উদ্যোগ ছোট করে হলেও নিজের এলাকায় নেন, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।