নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন আয়ুর্বেদিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জে বি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। উত্তর কলকাতায় দেশবন্ধু পার্ক লাগোয়া এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য প্রশ্নাতীত। কিন্তু বর্তমান পারফরম্যান্সে? সেটা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল দেশে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান যাচাইয়ের কেন্দ্রীয় সংস্থা কোয়ালিটি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (কিউসিআই)। দেশের সব রাজ্যের আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজগুলির গুণগত মান বিচার করে সেগুলির র্যাঙ্ক প্রকাশ করেছে তারা। তাতে ‘গ্রেড সি’-তে জায়গা পেয়েছে শতাব্দী প্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ। এমনকী, তাদের র্যাঙ্ক হয়েছে ১৪৩! স্বভাবতই এ নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে। একসময় বাংলাসহ সারা দেশের সেরা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের পঠনপাঠন এবং অধ্যাপনার পীঠস্থান এই কলেজ কীভাবে এতটা পিছিয়ে গেল? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, কিউসিআই গ্রেড ‘এ’ এবং ‘বি’-তে ৫৫টি করে মেডিক্যাল কলেজের তালিকা প্রকাশ করেছে। গ্রেড ‘সি’তে রয়েছে ১০৮টি নাম। সব মিলিয়ে ২১৯টি কলেজের কোনটার মান কী, র্যাঙ্কে সেটাই বোঝানো হয়েছে। তাতে জে বি রায় ১৪৩তম স্থানে। তাদের মোট প্রাপ্তমান ৩১৯.৩৪। আর পেয়েছে মাত্র ৩৪.৭০ পার্সেনটাইল নম্বর।
কলকাতার এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডাঃ সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, জে বি রায়কে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে যা যা দরকার, করব। তিনি আরও বলেন, প্রথমত, এই তালিকার প্রথম দিকে অসংখ্য বেসরকারি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তালিকায় ভালো ফল করা কলেজগুলির মধ্যে অনেকগুলিতেই স্নাতকের পাশাপাশি স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। এসব যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বলব, এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে।