শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের প্রবল যোগ। জরুরি কাজগুলি আগে করুন। সাফল্য পাবেন। ... বিশদ
তদন্তকারীদের দাবি, বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ‘অভয়া’কে। কিন্তু কোন কারণে? তিনি কি এমন কিছু জেনে ফেলেছিলেন, যা সন্দীপ ও তাঁর সঙ্গীদের বিপদে ফেলে দিত? এব্যাপারে বড় ‘ক্লু’ হয়ে দাঁড়ায় তরুণী চিকিৎসকের স্মার্টফোন। সন্দীপও জেরায় স্বীকার করেছেন অপারেশন থিয়েটারে মাঝেমধ্যে পার্টি করার কথা। জানা গিয়েছে, কোনও তরুণী ইন্টার্ন বা পিজিটি সেই পার্টিতে হাজির না হলে, পরদিন থেকে শুরু হতো মানসিক নির্যাতন। সঙ্গে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি। এমনকী জোর করে বাড়তি ডিউটি করানো হতো বলেও অভিযোগ। কেউ শরীর খারাপের কারণে ডিউটি করতে না চাইলে ভয় দেখাত সন্দীপ বাহিনী। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে ‘কম্প্রোমাইজ’ (আপস) করে নিতেন। সিবিআইয়ের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকমাস আগে এইরকম একটি পার্টি চলছিল আর জি করের অপারেশন থিয়েটারে। সেখানে সন্দীপ ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের একাংশ এবং ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। ‘অভয়া’র নাইট ডিউটি ছিল সেদিন। লুকিয়ে পার্টির ছবি-ভিডিও তুলে ফেলেন তিনি। কোনওভাবে সেই খবর জেনে ফেলেছিলেন সন্দীপ। এরপরই ‘অভয়া’কে নরমে-গরমে বোঝানো শুরু হয়। কিন্তু তরুণী চিকিৎসক মুখের উপর জানিয়ে দেন, হাসপাতালে এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করবেন না। এটি নির্দিষ্ট ফোরামে তুলবেন। তাঁকে ভয় দেখিয়ে লাভ হয়নি। হাতানো যায়নি তাঁর স্মার্টফোনটিও। বিপদ বুঝে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলে দাবি সিবিআই সূত্রের।
তবে ‘অভয়া’র স্মার্টফোনটি হাতানোই ছিল সন্দীপ বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য। সেই কারণে খুনের পরই সন্দীপ ডেকে আনেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে। তিনি সন্দীপের শুধু ডান হাত নন, মোবাইল সফ্টওয়্যার এক্সপার্টও। সন্দীপের কল ডিটেইলস ঘেঁটে সিবিআই জেনেছে, একদম ভোরে ফোন করা হয় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে তাঁকে নিয়ে আসতে তৎকালীন অধ্যক্ষ গাড়িও পাঠান। তিনি হাসপাতালে এসে সন্দীপের সঙ্গে অকুস্থলে আসেন। সেখান থেকে তরুণীর স্মার্টফোনটি তুলে নেন অধ্যক্ষ। তারপর নিজের চেম্বারে এসে সেটি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে খোঁজা হয় মোচ্ছবের ভিডিওটি। প্রায় মিনিট দশেকের ভিডিওটি ডিলিট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর স্মার্টফোনে থাকা হাসপাতালের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিও নষ্ট করা হয় বলেও জেনেছে এজেন্সি। শুধু তাই নয়, ওই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে দিয়ে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ব্লক করে দেন অধ্যক্ষ। সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, আসলে তদন্তের জাল যে এতদূর ছড়াবে ভাবতে পারেননি সন্দীপ।