উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
নিমতলাঘাট থেকে জগন্নাথঘাট—পাড় ভাঙছে গঙ্গার। শোচনীয় অবস্থা। ধীরে ধীরে নদীর গ্রাসে চলে যাচ্ছে পাড়ের মাটি, কংক্রিটের ঘাট। আলগা হচ্ছে চার দেওয়ালের ভিত। সমস্যা বহু বছরের। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সাত-আট বছর ধরে গঙ্গা ক্রমশ এগিয়ে আসছে পাড়ের দিকে। গঙ্গার পাড় বরাবর নিমতলা ঘাট থেকে জগন্নাথঘাট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তার উপরেই ছিল মোদি ঘাট, আদ্যশ্রাদ্ধ ঘাট, প্রসন্নকুমার ঠাকুর ঘাট। এসব আজ কার্যত বিলুপ্তপ্রায়। যেসব ঘাট এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার বেশিরভাগই ভাঙাচোরা। কোনও কোনও অংশ ভেঙে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে ইটের পাঁজর। খাদের কিনারায় চলে এসেছে কয়েকটি ওয়্যারহাউস। প্রসন্নকুমার ঠাকুর ঘাটের পরিচিতি এখন নামেই। আসল ঘাটকে গিলে নিয়েছে গঙ্গা। ওই ঘাটের পাশেই ছিল একটি কুস্তির আখড়া। সেটি এখন ভগ্নপ্রায়। তার লাগোয়া অংশে ছিল পুরসভার একটি পার্ক। সেই পার্কের মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে সেটিও নদীবক্ষে বিলীন হয়েছে। মোদিঘাট, কাঠগোলাঘাটের আর কোনও চিহ্ন নেই। শুধু তাই নয়, এমনকী এখন নিমতলাঘাটে রবিঠাকুরের সমাধিক্ষেত্র ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ।
হাওড়ার দিকে প্রবল পলি জমায় বদল হয়েছে স্রোত এসে এপাড়ে ধাক্কা মারছে, দাবি ফিরহাদ হাকিমের। গঙ্গার স্রোত এসে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে কলকাতার দিকের পাড়গুলিতে। আর এর জেরে পাড় ভাঙনের বিপদ বাড়ছে।
পুরমন্ত্রী ফিরাহাদ বলেন, এটা খুবই চিন্তার বিষয়। কারণ কলকাতার একটা অংশ ভাঙনের দিকে যাচ্ছে। ওই জায়গাটা বন্দরের আওতায়। বন্দর কর্তৃপক্ষকে পুর কমিশনার চিঠি দিয়েছেন। বন্দরের চেয়ারম্যানও বলেছেন, পুরসভায় এসে আলোচনা করবেন। তাঁর সংযোজন, এখানে বড় আকার ড্রেজিং না-করলে নিজের গতিপথ বদল করতে পারে গঙ্গা। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, যেহেতু ওইদিকে (হাওড়া) পলি জমে যাচ্ছে, তার জন্য গঙ্গা এসে এদিকে গ্রাস করছে। বিশেষজ্ঞদের দ্রুত কাজে লাগিয়ে কীভাবে এই সর্বনাশ ঠেকানো যায় তা দেখতে হবে।