উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিম ইন্দপুর ব্লকের গৌড়বাজার অঞ্চলের ক্ষীরপাই গ্রামে সভা করেন। ফিরহাদ সাহেব বলেন, পরপর নির্বাচনে হারের পরেও বিজেপি নেতারা এরাজ্যে বারবার আসছে আর টার্গেট দিয়ে চলে যাচ্ছে। কখনও বলছে ২০০ পার, কখনও বলছে আমাদের ৩৫টি আসন চাই। ওরা দু’কান কাটা। ২০২১ পরাজয়ের পরেও তালডাংরায় বিজেপি ফের লাফালাফি করছে। আর সিপিএম-কংগ্রেস ওদের হাওয়া দিচ্ছে। ‘সেকুলার’ ও সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপি-র সুবিধা করে দিচ্ছে। ওরা মীরজাফরের মতো কাজ করছে। বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও ওদের লজ্জা নেই। তবে তালডাংরা বিধানসভার মানুষ এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রাখবেন। মা-বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। এদিন কলকাতা থেকে আমি সড়কপথে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় বাঁকুড়া পৌঁছলাম। বাম আমলে ওই পথ আসতে পাঁচ-ছ’ঘণ্টা সময় লাগত। জঙ্গলমহলবাসী তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। ফলে আমাদের দলের প্রার্থীকেই তারা সমর্থন করবে।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূলের ‘সেটিং’ রয়েছে বলে সিপিএম প্রচার করছে। সেটিং থাকলে আমাকে বিনা দোষে জেল খাটতে হতো না। আমার মতো অনেক নেতাকে বিনা কারণে জেল খাটতে হয়েছে। সন্ধ্যায় ফিরহাদ সাহেব তালডাংরার খালগ্রাম অঞ্চলেও একটি সভা করেন।
এদিন বিকেলে তালডাংরার হারমাসরা, বিবরদা পাঁচমুড়ায় তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়কে নিয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী রোড শো করেন। সন্ধ্যায় রোড শো শেষে পাঁচমুড়ায় তাঁরা একটি সভাও করেন।
শতাব্দী বলেন, এদিন তালডাংরাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এবারের ভোটে বিরোধীদের শোচনীয় পরাজয় হবে।
এদিন দিলীপবাবু দুবরাজপুর এলাকায় সভা করেন। তিনি বলেন, উপ নির্বাচনে শাসক দল জোর করে জেতার চেষ্টা করে। তালডাংরাতেও তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বিজেপি জয়লাভ করবে। আসলে তৃণমূল জমানায় বাংলা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে গুন্ডা-মাফিয়ারা এসে এরাজ্যে আশ্রয় নিচ্ছে। ভোটের স্বার্থে তৃণমূল সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দুষ্কৃতীদের অনেকে তৃণমূলের নেতা-জনপ্রতিনিধি হয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তারফলে রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী অনন্যা রায় চক্রবর্তী এদিন ইন্দপুরের ব্রজরাজপুর অঞ্চলে পিকআপ ভ্যানে চেপে প্রচার করেন।
সিপিএম প্রার্থী দেবকান্তি মোহান্তি এদিন সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর ও আশপাশের এলাকায় বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ সারেন। তিনি বলেন, এবারের ভোটে তৃণমূল বেকায়দায় পড়েছে। তাই শাসক দলের নেতারা সিপিএমকে আক্রমণ করছে। শূন্য পাওয়া দলকে নিয়ে ওদের তো এত উতলা হওয়ার কারণ নেই। আসলে ওরা লাল ঝান্ডার তলায় জনসমাগম দেখে ভয় পেয়েছে।
কংগ্রেস প্রার্থী তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী বলেন, সেদিন আমি সিমলাপাল ব্লকের কৃষ্ণপুর, লায়েকপাড়া, বনকাটা সহ অন্যান্য গ্রামে দলের কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ করেছি। কংগ্রেসের জনসমর্থন দেখে তৃণমূল প্রমাদ গুনছে।