উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
রবিবার সকালেই শুরু হয়েছিল নবমী পুজোর আয়োজন। মহানবমীর পুজো বিশেষভাবে হয়। পুজো দিতে, ঠাকুর দেখতে রাস্তায় বেরলেন তরুণ-তরুণী থেকে প্রবীণরা। বেলা গড়াতে আসতে শুরু করলেন শহরের বাইরের দর্শনার্থীরা। সময় যত গড়িয়েছে ভিড় বেড়েই গিয়েছে। ভোররাত পর্যন্ত উৎসাহী মানুষের ঢল। চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর স্টেশন ও ফেরিঘাটগুলি উথালপাথাল ভিড়ের সাক্ষী রইল নবমীর দিন থেকে রাত। জলপথ, স্থলপথ ও রেলপথে মানুষ এসেছে। গভীর রাত পর্যন্ত থেকে ফিরেছে বাড়ি। বড়সড় থিমের পুজো তো বটেই অলিগলির ছোটখাট পুজোর প্রতিও দর্শকদের আগ্রহ দেখা গিয়েছে। মধ্য দুপুরে উত্তরাঞ্চলের মণ্ডপে এসে গাইড ম্যাপ খুঁজছিলেন বছর চল্লিশের অনিকেত বন্দ্যোপাধ্যায়। যোধপুর পার্ক থেকে এসেছিলেন সকাল সকাল। সপরিবারে এসেছেন চন্দননগরে। বললেন, ‘এসে শুনলাম পুজোর একটি ম্যাপ আছে। সেটাই খুঁজছি। পেলে পরিকল্পনা করে ঘোরা যাবে। যত রাতই হোক সবকটি পুজো দেখে ফিরব।’ বাবার কথায় মুখে হাসির ছোঁয়া কিশোরী কন্যা মেঘনার। হুগলির রিষড়ায় ইতিমধ্যে জগদ্ধাত্রী উৎসব শুরু হয়েছে। থিমের সাজে সেজেছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। অথচ সেখান থেকে সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধব সহ চন্দননগরে চলে এসেছেন বিপাশা রায়।
বললেন, ‘রিষড়াতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। কিন্তু চন্দননগরের নবমীর আলাদা ব্যাপার। সেই টান এড়াতে পারি না।’ চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘ভিড় বরাবরই বেশি হয় চন্দননগরে। তবে এবার নানা সময় ধরে হওয়া ভিড় আমাদেরও চমকে দিয়েছে।’ জেলার বাইরে থেকে আসা অনেকে সময়ের অভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত পুজোগুলিই শুধুমাত্র ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ভিড়ের দাপটে শেষপর্যন্ত গোটা শহরই ঘুরতে হয়েছে তাঁদের। এমনই একজন জগদ্দলের পলাশ সাহা বলেন, ‘আসলে বন্যার তোড়ের মতো ভিড়। নিজেদের শুধু ভাসিয়ে রেখেছিলাম। ভিড়ের পায়ে পায়েই সব পুজো ঘোরা হয়ে গেল।’ - নিজস্ব চিত্র