উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয়। পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা জমা পড়েছে অসম এবং মালদহ জেলার কালিয়াচকের বেশকিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও।
মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস বলেন, আমরা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার টাকা যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে, তার অধিকাংশ চোপড়া, ইসলামপুর, অসম এবং কিছু মালদহ জেলাতেও রয়েছে।
এদিকে ডিআইয়ের কাছ থেকে এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ১৪৩টির মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে আর কেউ কোনওভাবে টাকা তুলতে পারবেন না। এবিষয়ে মালদহ জেলার লিড ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অমিতাভ কীর্তনিয়া বলেন, আমরা ডিআইয়ের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই যে অ্যাকাউন্টগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের টাকা ঢুকেছে, তার অধিকাংশ ফ্রিজ করে দিয়েছি। সেগুলি এখন আর কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।
অন্যদিকে, ট্যাব কেনার টাকা না পেয়ে হতাশ পড়ুয়ারা। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, ৩০ সেপ্টেম্বর ট্যাব কেনার টাকা পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দুলাল মণ্ডল বলেন, বিষয়টি ডিআইকে জানানো হয়েছে। ফের একটি ফর্ম ফিলাপ করা হয়েছে। এবিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সম্পূর্ণভাবে বিদ্যালয়ের তরফে সহযোগিতা করা হবে। বন্ধুরা সরকারি অর্থ পেয়ে ট্যাব কিনে ফেললেও এখনও টাকা না পেয়ে মন খারাপ কেন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। বলে, ৬ অক্টোবর পুজোর ছুটি পড়েছিল। একমাস পর বুধবার স্কুল খোলে। সেদিন জানতে পারি আমার ট্যাব কেনার টাকা ভুল করে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাদের সেকথা জানিয়েছিলেন। তিনি একটি দরখাস্ত সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জমা দিতে বলেছেন। শুক্রবার আমি এবং কয়েকজন বন্ধু সেই সমস্ত নথি স্কুলে জমা দিয়েছি।
উত্তম প্রসাদ নামে এক অভিভাবক রবিবার বলেন, স্কুল থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। টাকা না পেলে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।