কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
সোমবার সারাদিনই বাঘটি ঘুরে বেরিয়েছে দক্ষিণ বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে। রাতে উত্তর বৈকুণ্ঠপুর অর্থাৎ ছ’নম্বর বৈকুণ্ঠপুরে চলে আসে। জালের কাছে বাঘের আঁচড়, পায়ের ছাপের চিহ্ন মেলে। সে বারবার নিজের অবস্থান বদল করেই গিয়েছে বলে কালঘাম ছুটেছে বন বিভাগের কর্মীদের। তারপর সকালের দিকে বাঘ কোথায় আছে তা বুঝতে পারার পর তাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন বনকর্মীরা। প্রথমে গ্রাম লাগোয়া রাস্তা ও জঙ্গলের দিক নেট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। শুধু নদীর দিকের অংশ রাখা হয় খোলা। এরপর বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র ছোট করতে কুলতলি থেকে নিয়ে আসা হয় স্টিলের জাল। তা দিয়ে জঙ্গলের একটি অংশ ঘিরে দেওয়া হয়। এরপর প্রাণীটি খুব বেশি ছুটোছুটি করতে পারেনি। তারপর দুপুরে শুরু হয় বোমা ছোড়া। সে শব্দের প্রাবল্যে এদিক ওদিক ছুটতে থাকে বাঘ। কিন্তু নিজের জায়গা ছেড়ে নদীতে নামেনি। একটি নিরাপদ জায়গা বেছে সেখানেই ঘাপটি মেরে থেকে যায়। দিনভর চেষ্টার পরও তাকে বাগে আনতে বেগ পেতে হয়েছে বনকর্মীদের। সেই হেতালের জঙ্গলেই এখনও লুকিয়ে বড় আকারের এই হিংস্র বাঘটি।। ফলে আতঙ্কে একপ্রকার কাঁপছে মৈপীঠের গ্রাম। অবিলম্বে পথবাতি বসানোর দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সন্ধ্যার খবর, বাঘ ধরতে ছ’নম্বর উত্তর বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে খাঁচা পাতা হয়েছে।
এই অঞ্চলে বাঘ কেন ঘন ঘন লোকালয়ের কাছে চলে আসছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ‘এই অঞ্চলটি রায়দিঘি রেঞ্জের আওতাধীন। গতবার বাঘ গণনার সময় এখানে ১৭টি বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে, যা বাকি রেঞ্জের তুলনায় সর্বাধিক। সে কারণেই হয়ত বিভিন্ন সময় গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ‘এখানে অনেক বন্য শুয়োর রয়েছে। তাদের খাওয়ার লোভে নদী টপকে ঢুকে পড়ছে বাঘ।’
গভীর রাতে জানা গিয়েছে, বাঘকে নদীর পথ ধরাতে রাতে আবার জঙ্গলে বোমা ছোড়া হয়েছে। কিন্তু বাঘটিকে দেখা যাচ্ছে না। রাতে ভাটার সময় বনকর্মীরা প্রাণীটিকে জঙ্গলে পাঠানোর জোরদার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। চলেছে লাগাতার লুকোচুরি।