কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত অ্যাপ বাইকচালকের নাম সৌরভ মজুমদার (৩৩)। পানিহাটির বিপ্লবী সূর্য সেন স্ট্রিটে তাঁর বাড়ি। জখম তরুণীর নাম রুবি সাহু। বছর ২৫-এর রুবি সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কর্মরত। তাঁর আসল বাড়ি বাঁকুড়ায়। কর্মসূত্রে তিনি বেলঘরিয়ায় ভাড়া থাকেন। অন্যান্য দিন ট্রেনে করে বিধাননগর স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে সেক্টর ফাইভে যান। এদিন দেরি হওয়ার জন্য তিনি অ্যাপ বাইক বুকিং করেছিলেন বেলঘরিয়া থেকে। বাগুইআটির নারায়ণতলা সিগন্যাল খোলা ছিল। বাঁ দিক ধরেই যাচ্ছিল বাইকটি। সিগন্যাল পার করার পর বারাসত-ধামাখালি রুটের একটি বাসের (ডিএন-১৬/১) সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পিছনের চাকার তলায় পড়ে যান সৌরভ। বাসের তলায় পড়েও প্রাণে বেঁচে যান তরুণী। দু’জনের মাথায় হেলমেট থাকলেও চালকের ক্ষেত্রে শেষ রক্ষা হয়নি।
বাগুইআটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিস দ্রুত দু’জনকে উদ্ধার করে পাশেই একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা বাইক চালককে মৃত ঘোষণা করেন। তরুণীর পায়ে চোট লেগেছে। তাঁর দিদি শর্মিষ্ঠা মাইতি বলেন, ‘ওর ফোন থেকেই পুলিস আমাদের ফোন করেছিল। রুবি আমাদের বলেছে, ও বাইকচালককে সাবধানে যেতেই বলেছিল।’
এদিকে, ঘটনার পরই চম্পট দেন বাসের চালক। বাসে তখন অনেক যাত্রী ছিল। তাঁরা হুড়োহুড়ি করে বেরিয়ে আসেন। বিক্ষুব্ধ জনতা সেই বাসে ভাঙচুর চালায়। বিধাননগরের ডিসি ট্রাফিক নিমা নরবু ভুটিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, ‘কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, পরপর দু’টি বাস ছিল। একটি বাস এগিয়ে যায়। তার পিছনে ছিল বাইকটি। ঠিক তার পিছনে ছিল ‘ঘাতক’ বাস। সেই বাসটিও বাঁদিক ঘেঁষে যাওয়ার চেষ্টা করাতেই পাশাপাশি ধাক্কা লাগে বাইকে। তার ফলেই বাইকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসের এক প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীর কথায়, ‘এয়ারপোর্টের পর অন্য একটি বাসকে দু’বার ওভারটেক করতে দেখেছি এই বাসটিকে। গতিও ভালো ছিল।’ ঘাতক বাস। -নিজস্ব চিত্র