কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
রবিবার গভীর রাতে গরফা থানা এলাকা কালীতলা রোডের একটি দোতলা বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আচমকাই দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায় বাড়ির দোতলার বারান্দার দিকের ঘর। সেই আগুন নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে একতলাতেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা বাড়ির দোতলাটি। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বৃদ্ধার ঝলসে যাওয়া দেহ। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় গরফা থানা পুলিস। সেখানেই বেবি মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিস। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই বাড়িটি স্থানীয় এক প্রোমোটারের। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সম্প্রতি কর্মসূত্রে শহরের বাইরে গিয়েছিলেন। বাড়ির একতলায় ছিলেন প্রোমোটারের বউ ও তিন বছরের শিশুপুত্র। প্রাথমিকভাবে দোতলার ঘরে আগুন লাগার ঘটনার টের পাননি বউমা। বৃদ্ধার আর্তনাদ শুনতে পেয়ে পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশী বারান্দায় বেরিয়ে আসেন। তাঁর চিৎকারেই আশপাশের বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, খবর দেওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক বাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। স্থানীয়দের দাবি, দমকল কিছুক্ষণ আগে এলে, বৃদ্ধাকে বাঁচানো সম্ভব হতো। আগুন দেখে একতলার ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসেন বৃদ্ধার বউমা ও নাতি। স্থানীয়রা বৃদ্ধাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, তা বৃথা যায়। খবর পেয়ে এদিন সকালেই বাড়িতে ফেরেন বৃদ্ধার ছেলে। তিনিই পুলিসকে জানান, প্রতিবার শীতকালে রাতে ঘর গরম করার জন্য হ্যারিকেন জ্বালাতেন বৃদ্ধা। ঘরেই মজুত ছিল জ্বালানির কেরোসিন। পুলিসের অনুমান, কোনওভাবে সেই হ্যারিকেনটি পড়ে যায়। তা থেকেই আগুন লাগে। এরপরেই ঘরে মজুত থাকা ওই জ্বালানির জেরে বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেন্সিক আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। উদ্ধার হয়েছে ভাঙা হ্যারিকেন। নিজস্ব চিত্র