কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ... বিশদ
আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জেনেছেন,সাজা হওয়ার পর বেশ কিছুদিন জেলে চুপচাপ ছিল বাংলাদেশি তারিকুল। ২০২২ থেকে সে আবার সক্রিয় হতে শুরু করে। তারিকুলের সঙ্গে হাত মেলায় বহরমপুরে জেলে বন্দি সমমনোভাবাপন্নরা। ২০০৭-০৮ মুর্শিদাবাদে আসার পর তখনই তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এবিটির আর এক সদস্য মিনারুলের। তার মাধ্যমে মিলেছিল ভুয়ো নথি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট। ২০২৪’র আগাস্টে হাসিনার পতনের পর তারিকুল নতুন উদ্যেমে কাজ শুরু করে। আব্বাস জেরায় জানিয়েছে, সে জেলে তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেত। তার ফোন ব্যবহার করে বহরমপুর জেলে বসেই বাংলাদেশে থাকা এবিটি চিফের ‘পিএ’ আবদুল্লাকে ফোন করে। এই আবদুল্লা আবার সম্পর্কে কেরল থেকে ধৃত মহম্মদ শাদের ভাই। তার মাধ্যমে তারিকুল কথা বলে এবিটি চিফ জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে। রহমানির সঙ্গে কথা বলার জন্য আব্বাস ভুয়ো নথি দিয়ে নেওয়া একাধিক সিম কেনে। সেগুলি ব্যবহার করে প্রোটেকটেড অ্যাপের মাধ্যমে রহমানির সঙ্গে চ্যাট করত তারিকুল। প্রতি সপ্তাহে সিম পাল্টাত তারিকুল।
মোবাইলের চ্যাট ঘেঁটে অসম এসটিএফের অফিসাররা জেনেছেন, এবিটি প্রধান তারিকুলকে নির্দেশ দেয় মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে সংগঠন বাড়ানো ও ট্রেনিং ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। এই জায়গা প্রথম থেকে তারিকুলের পরিচিত ছিল। খাগড়াগড় পর্বে রাঁচির কাছে রামগড়ে স্থানীয় এক মহিলাকে বিয়ে করে ‘ভারতীয়’ বনেছিল বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের এই বাসিন্দা। ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধা থাকায় সাহেবগঞ্জকে বেছে নিয়েছিল রহমানি। এবিটি প্রধানের সঙ্গে তারিকুলের কথোপকথনের সূত্র দরে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সাজা খেটে শেষ হলে তাকে কাশ্মীর গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। কাশ্মীরের এক লস্কর হ্যান্ডলারের সঙ্গে তারিকুলকে যোগাযোগ করতে বলেছিল রহমানি। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এবিটির চিফের কথামতো আইইডি বিস্ফোরণের সঙ্গে ‘লোন উল্ফ’ কায়দায় হানার ছক কষা হয়। তারজন্যে ছোট আর্মস জোগাড় করছিল মিনারুল।