কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনেই রয়েছে রোগীর আত্মীয়দের বসার জন্য একটি শেড। সেটির চারিদিক খোলা। তারপাশে রয়েছে কয়েকটি বড় গাছ। রাতে সেখানে দেখা গেল সকলেই ঠান্ডায় জবুথবু। অনেকে আবার শেডের তলায় চাদর দিয়ে ঘিরে বিছানা করে নিয়েছেন। শেডের তলায় যাঁদের জায়গা হয়নি, তাঁরা গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। নাইট শেল্টার থাকতে কেন রাত কাটাচ্ছেন এভাবে? জানা গেল, শুধুমাত্র প্রচারের অভাবে রোগীর আত্মীয়রা নাইট শেল্টারের কথা জানেন না। রাতের নাইট শেল্টারটি অন্ধকারেই থাকে শুনশান হয়ে। এখানে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছিল নাইট শেল্টারের ভবন। দিনের বেলায় সেই নাইট শেল্টারে হাসপাতালের বহির্বিভাগ চলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পালমোনারি মেডিসিন ও টিবি›র বহির্বিভাগ চালু রয়েছে ওই নাইট শেল্টারের নীচের তলায়। সোমনাথ সাহা নামে একজন বলেন, মা ভর্তি রয়েছেন। রাতে থাকতে হবে হাসপাতালে। তাই রয়েছি। রাতে কোথাও থাকার জায়গা নেই। ঠান্ডায় গাছের তলায় বসে রয়েছি। সোয়েটার আর কম্বল গায়ে জড়িয়ে থাকবো। কষ্ট হচ্ছে। রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্য যে নাইট শেল্টার রয়েছে, তা আমার জানা নেই। আমার মনে হয়, অনেকেই সেটা জানেন না। ওই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক মণিদীপ পাল বলেন, করোনাকালে অনেক রোগীর আত্মীয় নাইট শেল্টারে রাত্রিযাপন করেছেন। কিন্তু এখন কেউ আমাদের কাছে এসে সেখানে থাকার কথা বলেন না। ফলে কেউ সেখানে থাকেনও না। তবে নাইট শেল্টার কিন্তু বন্ধ নেই। চালুই রয়েছে। ওই শেল্টারে থাকার জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কাছে যে সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতালে রাত্রিবাস। নিজস্ব চিত্র