কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
গত ১ অক্টোবর সাইবার থানায় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তাঁর ৬৩ লক্ষ টাকা প্রতারণা হয়েছে। এই কেসের তদন্তভার হাতে নিয়ে পুলিস অভিযুক্তের সন্ধানে আইপি অ্যাড্রেসের খোঁজ চালায়। তাতে থাইল্যান্ডের একটি লোকেশন পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, সেই লোকেশনে কেউ নেই। ভুয়ো আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে চলছে প্রতারণা। এরপর তদন্তের অগ্রগতি ভিন্ন পথে নিয়ে যায় পুলিস। প্রতারিত অর্থের লেজ অনুসরণ করে বারাসতের একটি এটিএমের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। লালবাজার সূত্রে খবর, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পাওয়া যায় অভিযুক্তের মুখের ছবি। তার ভিত্তিতে মেলে তন্ময়ের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরের ভিত্তিতে অভিযুক্তের মোবাইল লোকেশনের হদিশ পান সাইবার আধিকারিকরা। বারাসতের এলআইসি পাড়ায় হানা দিয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয় আরও এক ধৃতের মোবাইল। একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার হয় তা থেকে। এছাড়াও ফোন থেকে মিলেছে পুরনো প্রতারণার বিভিন্ন তথ্য। সব খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ৩১৭টি কেসে ‘ওয়ান্টেড’ এই তন্ময়। তার মোবাইল ফোন স্ক্যানারে আনে লালবাজার। তাতে আরও বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় পুলিস। শুভঙ্কর পাল নামে এক ব্যক্তির নথিকে কাজে লাগিয়ে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলে তন্ময়। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রতারণার যাবতীয় টাকা জমা পড়ে। রীতিমত গ্যাং তৈরি করে জালিয়াতির নেটওয়ার্ক বানিয়েছিল অভিযুক্ত। তাকে জেরা করে ইতিমধ্যেই এক মিডলম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। কলকাতা পুলিসের এক আধিকারিকের কথায়, দেশজুড়ে সাইবার প্রতারণার বড়সড় গ্যাংয়ের মাথাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তন্ময়ের সঙ্গে অনেকেই যুক্ত। তদন্তে বাকিদের সন্ধান মিলতে পারে।