কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই পুষ্টিকর, কম তেল, ঝাল, মশলা দিয়ে রান্না করা হয়েছিল। অনবদ্য স্বাদ তার। বাড়িতে এমন রান্না করতে পারলে খুশি হতাম। আমার মনে হয়, চুঁচুড়ার সব স্কুলে এভাবেই শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হয়। তাঁর কাছে প্রায় পাঁচ বছর আগের ‘নুন-ভাত কাণ্ড’ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেন, তখন কী হয়েছে, জানি না। আমি বিনা নোটিসেই জ্যোতিষচন্দ্র স্কুলে এসেছিলাম। মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছি। আমার মনে হয়, রাজ্যের সর্বত্রই শিক্ষার্থীদের যত্ন করে খাওয়ানো হয়। এদিন ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে উপদেশ দিতেও দেখা গিয়েছে সাংসদকে। চুঁচুড়ার উইমেন্স কলেজে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের কথা অকপটে তুলে ধরে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে শিক্ষা দেন। রচনা বলেন, সংসার করতে হবে। স্বামী-সন্তানের জন্য রান্নাও করতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে হবে। প্রতিভাকে কখনও নষ্ট করা যাবে না। তাতে দেশ-কাল-সমাজের বৃহত্তর ক্ষতি হয়। পরে রচনা বলেন, নতুন বছরের প্রথম পর্ব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাটাব বলে ঠিক করেছিলাম। তাই স্কুল, কলেজ সর্বত্র শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলার কর্মসূচি নিয়েছি।
এদিকে, মিড ডে মিল নিয়ে রচনার মন্তব্যের পরেই আসরে নামে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য নেতা স্বপন পাল বলেন, পাঁচ বছর আগে আমাদের সাংসদ মিড ডে মিলে অনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছিলেন বলেই আজ বদল এসেছে। রাজ্যে তো বটেই, হুগলিতেও তৃণমূলের শাসনে অনিয়মের রাজত্ব কায়েম হয়েছে, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এদিন হুগলির মহসিন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানানো হয় সাংসদের কাছে। তাঁর ভিন্নধারার কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।