কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে ... বিশদ
কোনও আষাঢ়ে গল্প নয়। চুরির গয়না দোকানে বিক্রি করতে গেলে ধরা পড়ার ভয়। খবর চলে যাতে পারে পুলিসের কাছে। তাই কখনও সন্তান, কখনও স্বামী বা অন্য প্রিয়জনদের অসুস্থতার কথা বলে এভাবেই চুরির গয়না ‘বন্ধক’ দিচ্ছে চোরেরা। সম্প্রতি, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে চুরির গয়না উদ্ধার করতে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিসের। শুধু বিধাননগর নয়, অন্যান্য জায়গায়ও একই ধরনের তথ্য এসেছে পুলিসের কাছে। কিছুদিন আগে লেকটাউন থানায় একটি বাড়ির আলমারি থেকে তিনটি সোনার চেন চুরি যায়। পরিচারিকার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে পুলিস জানতে পারে, পরিচারিকা নয়, চুরি করেছে বাড়ির ঝাড়ুদার। সেই মহিলা ঝাড়ুদারকে গ্রেপ্তারও করা হয়। দু’টি সোনার চেন উদ্ধার হলেও তৃতীয় চেনটির হদিশ মিলছিল না। কোথায় গেল? কাঁচুমাচু মুখ করে সে বলে, ‘স্যর, ওটা বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়েছি।’ যার কাছে বন্ধক রাখা হয়েছিল, তাঁর ঠিকানা ধরে পুলিস পৌঁছয়। চেনটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে বিধাননগরে চুরির গয়না বন্ধক দেওয়ার আরও একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। পুলিস জানিয়েছে, চুরির গয়না বিক্রির জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কিছু গোপন ঠেক রয়েছে। সেখানেই গয়না বিক্রি করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু একাধিক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত চালাতে গিয়ে পুলিসও জেনে গিয়েছে সেসব দোকানের ঠিকানা। তাই চোরেরা সেখানে গয়না বিক্রি করার পরই খবর চলে যায় পুলিসের কাছে। সহজে ধরাও পড়ে। সেই গ্রেপ্তারি এড়াতেই এই চাতুরি। সব এলাকাতেই গয়নার বন্ধকী কারবারের মহাজন থাকেন। তাঁদের কাছে বন্ধক দিলে ধরা পড়ার ভয় কম। এক পুলিস আধিকারিকের কথায়, ‘সাময়িক সুবিধা পেলেও রেহাই মিলবে না। কারণ, ধরা পড়ার ভয় রয়েছে মহাজনদেরও। চোর পালিয়ে গেলেও ওই সোনা বিক্রি করতে সমস্যায় পড়বেন তিনি। কারণ, ওই সোনা চুরির!’