বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ছেলে সুকুমার বলেন, ‘ক্ষমা করে দিন। আমি কোর্টের নির্দেশ মেনে সমস্ত টাকা মেটানোর পর আলোচনা করে বাবাকে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনব।’ বিচারকের মন্তব্য, ‘পুরো বিষয়টি কার্যকর হলে তা দ্রুত আদালতের নজরে আনতে হবে।’ উত্তরে সুকুমারবাবু বলেন, ‘আর ভুল হবে না। আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে মার্চ মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে শিয়ালদহ আদালতে খোরপোশের মামলা দায়ের করেছিলেন বৃদ্ধ। প্রাথমিক শুনানির শেষে আদালত এক অন্তর্বর্তী রায়ে প্রতিমাসে ছেলেকে পাঁচ হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই টাকা গত চার মাস ধরে বকেয়া পড়ে থাকায় বৃদ্ধ ওষুধপত্র কিনতে নানা সমস্যায় পড়েন। আদালতে বৃদ্ধের অভিযোগ ছিল, তাঁরই স্টেশনারি ব্যবসা ছেলে দেখাশোনা করে। অথচ ছেলে ঠিকমতো তাঁকে খেতে পড়তে দেয় না। তাই তিনি বাধ্য হয়েই বেলেঘাটায় এক আত্নীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেই কোনওভাবে তিনি দিন গুজরান করছেন। ছেলে খোরপোশের টাকা না দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।
বুধবার বৃদ্ধের আইনজীবী সমরকান্তি চক্রবর্তী বলেন, ‘আদালতের আদেশ না মানা হলে ফের তিনি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিষয়টি কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।’ যদিও ছেলে সজল দাস কোর্টের ভর্ৎসনার বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।